ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের চামোলি জেলায় বৃষ্টিতে বাড়িঘর, দোকান ও রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় এক তরুণীর মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। প্রশাসন এবং এসডিআরএফ বাহিনী ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে । গত শুক্রবার মধ্যরাতে জেলার থারালি এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটে। এতে থারালি শহর, আশেপাশের গ্রাম এবং বাজার বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
এর আগে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের চাশোতি গ্রামে মেঘ বিস্ফোরণে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। মুহূর্তের মধ্যেই চার ফুট উঁচু পাথর-কাদার স্রোত ও অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় নিচু অঞ্চলের সবই ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এতে করে নিচু জায়গাগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। এতে প্রায় ৬০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন ১০০ জনেরও বেশি। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে থারালি বাজার, কোটদ্বীপ এবং তহসিল প্রাঙ্গণে। তহসিল প্রাঙ্গণে পার্ক করা অনেক যানবাহন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে গেছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গেছে, সাগওয়ারা গ্রামে, ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে এক তরুণীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে ত্রাণ কাজের জন্য গ্রামে পৌঁছায়। চেপডন বাজারে ধ্বংসস্তূপের কারণে অনেক দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও, একজন নিখোঁজ থাকার খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। পোস্টে তিনি জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ আধিকারিক, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা কাজ করছেন। এ পরিস্থিতির ওপর তিনি নিয়মিত নজর রাখছেন বলে জানান।
এছাড়া, উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূন, রুদ্রপ্রয়াগ, চামোলি, উত্তরকাশীতে বজ্রসহ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। রাজ্যের পিথোরাগড়ে ভূমিধসের আশঙ্কায় সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।