চীনের বেইজিংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। বৈঠকের পর ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কিমের স্পর্শ করা প্রতিটি জিনিসপত্র সাবধানে পরিষ্কার করছেন তার নিরাপত্তাকর্মীরা।
চেয়ারের হাতল ও পিঠ, আলোচনার সময় ব্যবহৃত টেবিল এবং পানির গ্লাস—সবই জীবাণুমুক্ত করা হয়। এমনকি কিম যে গ্লাসে পানি পান করেছিলেন, সেটিও ট্রেতে তুলে সরিয়ে নেওয়া হয়।
রুশ সাংবাদিক আলেকজান্ডার ইউনাসেভ তার ‘ইউনাসেভ লাইভ’ চ্যানেলে জানান, কিমের উপস্থিতির কোনও চিহ্ন যেন না থাকে, সেজন্য তার দেহরক্ষীরা সবকিছু নিখুঁতভাবে মুছে দেন। উদ্দেশ্য একটাই—কোনোভাবেই কিমের ডিএনএ যেন সংগ্রহ করা না যায়।
কেন এত সতর্কতা, তা স্পষ্ট না হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি হতে পারে রাশিয়া বা চীনের গোয়েন্দা নজরদারির আশঙ্কা থেকে—যাতে কিমের জৈব নমুনা হাতছাড়া না হয়।
এমন সতর্কতা কেবল কিমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও তার ডিএনএ চুরির আশঙ্কায় একই ধরনের ব্যবস্থা নেন। ২০১৭ সাল থেকে বিদেশ সফরে গেলে, তার দেহরক্ষীরা বিশেষ ব্যাগে তার মল-মূত্র সংগ্রহ করে তা রাশিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যান। এমনকি গত মাসে আলাস্কায় ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও এই প্রটোকল অনুসরণ করা হয়।