লোহিত সাগরে একাধিক সাবমেরিন ক্যাবল কেটে যাওয়ার কারণে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে ইন্টারনেট সংযোগে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটেছে। আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইন্টারনেট নজরদারি সংস্থা নেটব্লকস। খবর আল জাজিরা ও আল আরাবিয়া ইংলিশ।
তবে এ কারণে বাংলাদেশের ইন্টারনেট সংযোগে কোনো প্রভাব পড়বে কি-না, তা প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়নি।
প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট শনিবার জানিয়েছিল, তাদের ক্লাউড সেবা মাইক্রোসফট অ্যাজুর ব্যবহারকারীরা লোহিত সাগরে ফাইবার কেবল কেটে যাওয়ার কারণে বাড়তি লেটেন্সি বা ধীরগতির সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।
নেটব্লকস জানিয়েছে, ‘লোহিত সাগরে একাধিক সাবমেরিন কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভারত ও পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশে ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটেছে।’
ক্ষতিগ্রস্ত কেবলের মধ্যে রয়েছে এসএমডব্লিউ৪ এবং আইএমইডব্লিউই কেবল সিস্টেম, যা সৌদি আরবের জেদ্দার কাছে অবস্থিত।
এসএমডব্লিউ-৪ কেবল পরিচালনা করে ভারতের টাটা কমিউনিকেশনস, আর আইএমইডব্লিউ কেবল পরিচালিত হয় আলকাটেল-লুসেন্টের নেতৃত্বাধীন এক কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে। তবে এখনো কোনো প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেনি।
পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (পিটিসিএল) নিশ্চিত করেছে, রেড সাগরে কেবল কেটে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সাবমেরিন কেবল কাটা কীভাবে ঘটে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, জাহাজ থেকে নোঙর ফেলার সময় কেবল কেটে যেতে পারে, আবার সচেতনভাবে হামলার শিকারও হতে পারে। মেরামতে দীর্ঘ সময় লাগে, কারণ ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে বিশেষ জাহাজ ও প্রযুক্তিবিদ পাঠিয়ে মেরামত করতে হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লোহিত সাগরে কেবল লক্ষ্যবস্তু করার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও অতীতে তারা এ ধরনের হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রোববার হুতিদের মালিকানাধীন আল-মাসিরাহ স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল নেটব্লকসের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে কেবল ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটের ৯৫ শতাংশের বেশি ডেটা পরিবাহিত হয় এসব উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ফাইবার-অপটিক কেবলের মাধ্যমে। ফলে একাধিক কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হলে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে।