মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় আটক রাখা জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে হামাসকে তিনি ‘শেষ সতর্কবার্তা’ দিচ্ছেন।
স্থানীয় সময় (৭ সেপ্টেম্বর) রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল আমার শর্ত মেনে নিয়েছে। এখন হামাসেরও সময় এসেছে মেনে নেওয়ার। আমি হামাসকে পরিণতি সম্পর্কে আগেই সতর্ক করেছি। এটি আমার শেষ সতর্কবার্তা।’
এর আগে, চলতি বছরের মার্চে হোয়াইট হাউসে মুক্তি পাওয়া আটজন জিম্মির সঙ্গে সাক্ষাতের পরও তিনি হামাসকে একই ধরনের হুঁশিয়ারি দেন। তখন তিনি দাবি করেছিলেন, ‘অবিলম্বে সব জিম্মিকে ছেড়ে দিতে হবে, মৃতদের মরদেহ হস্তান্তর করতে হবে। তা না হলে হামাসের জন্য সব শেষ।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ইসরায়েল থেকে ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এখনো ৪৭ জনকে গাজায় আটক রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, তাদের মধ্যে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল তাদের মরদেহ ফেরত চাইছে।
শুক্রবার ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র ‘খুব গভীরভাবে’ হামাসের সঙ্গে আলোচনায় আছে। তবে তার আশঙ্কা, গাজায় আরও জিম্মির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘ওদের এখনই ছেড়ে দাও, সব ছেড়ে দাও। তাহলে অনেক ভালো কিছু হবে হামাসের জন্য। না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।’
এদিকে ইসরায়েলি সেনারা রোববার গাজা সিটির একটি আবাসিক টাওয়ারে বিমান হামলা চালিয়েছে। টানা তিন দিনে এটি ছিল তৃতীয় হামলা। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছিলেন, গাজার গুরুত্বপূর্ণ শহরাঞ্চলে সেনা অভিযান আরও ‘গভীর’ করা হবে।
শনিবার ইসরায়েলে হাজারো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়ে সরকারকে গাজা সিটি দখল অভিযান থেকে সরে আসার আহ্বান জানায়। তাদের দাবি, সেখানে আটকে থাকা জিম্মিদের জীবন আরও ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
গত শুক্রবার তেল আবিবে জিম্মিদের স্বজনরা ৭০০ দিনের বন্দিত্বের প্রতীক হিসেবে হলুদ বেলুন উড়িয়ে প্রতিবাদ জানান।
ইসরায়েলের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের পাল্টা অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৩৬৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।