দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে জেনারেশন জেড (জেন- জি)-এর ক্রমবর্ধমান আন্দোলন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নেপালের ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন (এনএইচআরসি)। কমিশন কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ অবিলম্বে বন্ধ করার এবং তরুণ প্রজন্মের উত্থাপিত উদ্বেগগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে।
সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে কমিশন জানায়, তারা কাঠমান্ডু, পোখারা, বুটওয়াল, চিতওন, বিরাটনগর, সুনসারি, ঝাপা এবং দাং-এ পর্যবেক্ষণ দল পাঠায়, যারা মাঠ পর্যবেক্ষণের সময় সহিংস হামলার শিকার হয়।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কাঠমান্ডুর মৈতিঘর থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ বানেশ্বর পর্যন্ত গড়ায়, যেখানে প্রতিবাদকারীরা ফেডারেল পার্লামেন্টের চত্বরে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ, জলকামান, টিয়ার গ্যাস এবং গুলি চালায়। এতে অন্তত ১৮ জন নিহত হন এবং আরও অনেকে আহত হন।
নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে কমিশন বলছে, আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে, পরিবারগুলোর জন্য তাৎক্ষণিক সহায়তা ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং ঘটনার নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত পরিচালনা করতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “নেপালের সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিকের শান্তিপূর্ণভাবে মতপ্রকাশের অধিকার রয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে নাগরিকদের প্রকৃত উদ্বেগ সময়মতো চিহ্নিত করে সমাধান করতে হবে। নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং প্রতিবাদের সময় সহিংসতা গভীর উদ্বেগের বিষয়।”
কমিশন বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ, শৃঙ্খলাপূর্ণ এবং সংযত আচরণ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে এবং সরকারকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন না করার বিষয়ে সতর্ক করেছে।
সূত্র: দ্য হিমালয়ান