× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

বিক্ষোভকারীদের কাছে আত্মসমর্পণ নয়, স্টারমারের হুঁশিয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্য কখনোই উগ্র ডানপন্থী বিক্ষোভকারীদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। তারা ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতা আড়াল করতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করে।’ উগ্র ডানপন্থীদের কয়েক দশকের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভে সহিংস ঘটনার পর তিনি এ মন্তব্য করেন। গত শনিবার লন্ডনে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দেন। এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন উগ্র ডানপন্থী রাজনৈতিক কর্মী টমি রবিনসন। তাঁর আসল নাম স্টিফেন ইয়াক্সলি-লেনন।

এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয় ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’। এ ঘটনায় কিছু বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সংঘর্ষে ২৬ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন এবং প্রায় ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লন্ডনের হোয়াইটহলে বিক্ষোভ সমাবেশে অনেকে বক্তব্য দেন। 

বিক্ষোভের পর এ বিষয়ে গতকাল রোববার প্রথম প্রকাশ্যে কথা বলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেন, ‘মানুষের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার আছে। এটি আমাদের দেশীয় মূল্যবোধের প্রধান অংশ। তবে পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা বা মানুষকে তাঁদের পরিচয় এবং গায়ের রঙের কারণে ভীতি প্রদর্শনের কোনো ঘটনা আমরা মেনে নেব না।’

স্টারমার আরও বলেছেন, ‘সহনশীলতা, বৈচিত্র্য ও পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাজ্য গড়ে উঠেছে। আমাদের পতাকা আমাদের বৈচিত্র্যময় দেশের প্রতীক। আমরা কখনোই এটি তাদের কাছে হস্তান্তর করব না, যারা এটিকে সহিংসতা, ভয় ও বিভেদের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে।’

শনিবারের ওই বিক্ষোভে বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী প্রতীক চোখে পড়েছে। ছোট ছোট সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভের মঞ্চে দাঁড়িয়ে রবিনসন উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, শুধু যুক্তরাজ্য নয়, পুরো পশ্চিমা বিশ্বই আক্রমণের মুখে। প্রতিটি পশ্চিমা দেশ একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ইউরোপের নাগরিকদের ওপর পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, অন্যরা তাদের জায়গা দখল করে নিচ্ছে।

ফরাসি রাজনীতিক এরিক জেমুর বলেন, ‘আমরা একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। দক্ষিণ থেকে আসা মানুষ এবং মুসলিম সংস্কৃতির কারণে আমাদের ইউরোপীয় জনগণ পরিকল্পিতভাবে নিজেদের জায়গা হারাচ্ছে।’

এরিক আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের সাবেক উপনিবেশগুলোর মাধ্যমে ঔপনিবেশিকতার শিকার হচ্ছি।’

বিক্ষোভে জরুরি ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের সরকার পরিবর্তনের ডাক দেন টেসলার সিইও ইলন মাস্ক। সেখানকার মানুষদের পাল্টা লড়াই করার আহ্বান জানান তিনি।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’-এর পাশাপাশি সেদিন লন্ডনে প্রায় একই সময়ে বর্ণবাদবিরোধী সংগঠন স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজমের (এসইউটিআর) ডাকে আয়োজিত পাল্টা সমাবেশে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিলেন।


Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.