রাজধানী তিউনিসের উত্তরে লা গুলেট থেকে ত্রাণসহ গাজাগামী প্রথম তিউনিশীয় জাহাজ রওনা হয়েছে। ইসরাইলের অবরোধ ভাঙতে ফ্লোটিলার অংশ হিসেবে ত্রাণসহ গাজায় প্রথম তিউনিশীয় জাহাজ যাচ্ছে। গত রোববার জাহাজটি যাত্রা শুরু করে। যা ইসরাইলি অবরোধের মুখে ফ্লোটিলায় অংশ নেওয়া আন্তর্জাতিক জাহাজগুলোর সঙ্গে যোগ দিতে যাচ্ছে। সংগঠনকারীরা জানিয়েছেন, জাহাজটিতে পাঁচজন কর্মী ছিলেন, যার মধ্যে তিউনিশিয়ান শিল্পী মোহামেদ আমিন হামজাউইও রয়েছেন। এটি ম্যাগ্রেবের ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র অংশ হিসেবে প্রথম তিউনিশিয়ান জাহাজ। এই ফ্লোটিলায় মোট ২৩টি উত্তর আফ্রিকান এবং ২২টি বিদেশি জাহাজ অংশ নিচ্ছে।
তিউনিশিয়ার বিজার্টে বন্দর থেকে গত রোববার তিনটি স্প্যানিশ জাহাজও রওনা হয়েছে, যা বৃহত্তর ফ্লোটিলার সঙ্গে যোগ দিতে চলেছে।
সংগঠনকারীদের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ৫০টি জাহাজ ৪৭টি দেশের অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে তিউনিশিয়ান বন্দরে একত্রিত হয়েছে। ফ্লোটিলায় পার্লামেন্ট সদস্য, শিল্পী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি অংশ নিচ্ছেন, যারা ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, ভারত ও মালয়েশিয়া থেকে আগত।
এই উদ্যোগের প্রস্তুতি শুরু হয় গত মাসে। বার্সেলোনা, স্পেন এবং জেনোয়া, ইতালি থেকে জাহাজগুলি ছাড়ার পর, ইউরোপীয় জাহাজগুলো তিউনিশিয়ার জলসীমায় এসে ম্যাগ্রেবের জাহাজগুলোর সঙ্গে যোগ দেয়। সংগঠনকারীরা এই অভিযানকে আগে করা একক জাহাজ অভিযান থেকে ভিন্ন এবং উল্লেখযোগ্য বলে বর্ণনা করেছেন, কারণ আগের অভিযানগুলো ইসরাইল কর্তৃক আটক এবং অংশগ্রহণকারীদের বিতাড়িত হওয়ার শিকার হয়েছিল।
এই ফ্লোটিলার মূল লক্ষ্য হলো অবরোধ ভাঙা এবং গাজার মানুষদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌছে দেওয়া। গাজায় ইসরাইলের মাসব্যাপী সমস্ত প্রবেশপথ বন্ধের কারণে ক্ষুধা ও দুর্ভোগের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
ইসরাইলি সেনারা গত অক্টোবর ২০২৩ থেকে গাজায় প্রায় ৬৫,০০০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। অব্যাহত বোমাবর্ষণের কারণে গাজা অনাবাসযোগ্য হয়ে উঠেছে এবং খাদ্যাভাব ও রোগের বিস্তার দেখা দিয়েছে।