ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কাতারে গত সপ্তাহে হামলা চালানোর পর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নেতাদের ওপর আবারও হামলার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, যেখানেই থাকুন না কেন, তাঁরা রেহাই পাবেন না।
জেরুজালেমে গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন ইসরায়েল সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, প্রতিটি দেশের ‘নিজস্ব সীমানার বাইরে’ আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।
কাতারে হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলি হামলার ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ কাতারের মাটিতে এমন হামলার নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। হামাসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হামলায় ছয়জন নিহত হলেও সংগঠনটির নেতারা বেঁচে গেছেন।
নেতানিয়াহু এমন এক সময় এ মন্তব্য করলেন, যার এক দিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারকে আশ্বস্ত করেছেন যে দেশটির মাটিতে আর এমন ঘটনা (হামলা) ঘটবে না। কাতারে হামলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র সম্পৃক্ত ছিল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নিজেরাই এটি (হামলা) করেছি।’
কাতারের মাটিতে ইসরায়েলি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না, বিবিসির পক্ষ থেকে এমন প্রশ্নও করা হয়। জবাবে মার্কো রুবিও বলেন, উপসাগরীয় মিত্রদের সঙ্গে জোরালো সম্পর্ক বজায় রেখেছে ওয়াশিংটন।
জেরুজালেমে নেতানিয়াহু ও রুবিও এমন এক সময় বৈঠক করলেন, যখন আরব নেতারা একযোগে কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। গতকাল সোমবার দেশটির রাজধানী দোহায় আরব ও মুসলিম দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা এক জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে বসেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ‘দ্বিমুখী আচরণ না করা’ ও ইসরায়লকে ‘শাস্তি দেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী।
কাতারের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি রয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সম্পৃক্ত রয়েছে কাতার। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্ততা করছে দেশটি। ২০১২ সাল থেকে হামাসের রাজনৈতিক শাখার দপ্তর রয়েছে কাতারে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দেওয়া তথ্য, ইসরায়েল সফর শেষে মার্কো রুবিও কাতারে যাবেন।