ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ইসরায়েলি পরিবার এবং সমর্থকরা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভকালে তারা বলছেন, গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান তাদের প্রিয়জনদের জীবনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
এদিকে দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, বন্দি মাতান জানগাউকার, মাতান আংরিয়েস্ট এবং রম ব্রাসলাভস্কির বাবা-মা বর্তমানে নেতানিয়াহুর বাসভবনের বাইরে অবস্থান করছেন।
হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজা সিটিতে চালানো বড় সামরিক অভিযানের খবর পরিবারগুলো গভীর উদ্বেগের সঙ্গে গ্রহণ করছে।
তারা বলছেন, গাজা সিটিতে অনেক জীবিত বন্দি রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক স্বার্থে তাদের উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, যা সেনাপ্রধান ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়ন সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করছে।
এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামাস যেখানেই আছে, ইসরায়েল সেখানেই হামলা চালানো হবে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জেরুজালেমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও’র সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার কাতারে হামলা নিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কো রুবিও। বৈঠকে রুবিও ওই হামলার কারণে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান, ইসরায়েলের এমন আচরণে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র।
নেতানিয়াহুর পশ্চিম জেরুজালেমের অফিসে দুই ঘণ্টার বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে একে অপরকে রক্ষা করতে। তিনি বলেন, রুবিওর সফর স্পষ্ট বার্তা যে, সন্ত্রাসের মুখে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে।
নেতানিয়াহু কাতারে হামলার বিষয়ে সমালোচনার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, যারা ইসরায়েলের নিন্দা করছে, তাদের মধ্যে অসংখ্য দ্বিমুখিতা রয়েছে। তিনি পুনরায় বলেন, হামাস যেখানেই আছে, ইসরায়েল সেখানেই হামলা চালাবে।