ছবি: সংগৃহীত।
যুক্তরাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ অনিয়মিত অভিবাসীদের ভিসা নীতি সীমিত/স্থগিত কিংবা বাতিল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মূলত অনিয়মিত অভিবাসীদের ফেরত নিতে রাজি না হওয়া দেশগুলোর ক্ষেত্রে এই হুঁশিয়ারি। সম্প্রতি রাজধানী লন্ডনে ৫ দেশের গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় সংক্রান্ত সংস্থা ‘ফাইভ আইস’- এর বৈঠকে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রধান এবং অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীরা। এই পাঁচটি দেশের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম ‘ফাইভ আইস’।
এমন এক সময়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্য করেছেন, যখন ছোট নৌকায় ফরাসি উপকূল থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা অভিবাসীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। এমন প্রেক্ষাপটে অভিবাসন ইস্যুতে বিরোধী দলগুলোর তীব্র চাপের মুখে রয়েছে সরকার, বাড়ছে জনরোষও।
ইভেট কুপারকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার, আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে তিনি নিয়োগ দেন শাবানা মাহমুদকে- যিনি ব্রিটেনের বিচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। যেদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন শাবানা, সেদিনই সেদিনই রেকর্ড সংখ্যক এক হাজার ৯৭ জন অভিবাসী চ্যানেল পেরিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।
যুক্তরাজ্যের সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘প্রধান অগ্রাধিকার’ উল্লেখ করে ফাইভ আইসের বৈঠকে শাবানা মাহমুদ বলেন, “বিশেষ করে যেসব দেশের নাগরিকেরা বৈধ নথিপত্র ছাড়াই আমাদের দেশে অবস্থান করছেন এবং যেসব দেশ তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে চায় না-এই বিষয়টি সুরাহা করার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, যাদের আমাদের দেশে থাকার অধিকার নেই-তাদেরকে যেন আমরা ফেরত পাঠাতে পারি এবং তারা যেন তাদের নিজ দেশে ফিরে যায়।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো একটি বা একাধিক দেশ তার নাগরিকদের ফেরত নিতে গড়িমসি করে, ক্ষেত্রে আমরা ফাইভ আইস সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে পারি। আর সেই পদক্ষেপ হবে ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে ভিসার সুযোগ কমিয়ে আনা। কারণ, সবাইকে নিয়ম মেনে চলতে হয়। যদি আপনার কোনো নাগরিকের আমাদের দেশে থাকার অধিকার না থাকে, তাহলে আপনাকে তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে।”
ভবিষ্যতে কোন দেশগুলোকে ভিসা স্থগিতাদেশে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে তা অবশ্য নির্দিষ্ট করেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার অবশ্য আগেই বলেছেন, তিনি ভিসার ক্ষেত্রে ‘‘অনেক বেশি লেনদেনমূলক’’ পদ্ধতির পক্ষে। গত জুনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে নিতে কোনো দেশ যুক্তরাজ্যকে কতোটা সহযোগিতা করবে, তার ভিত্তিতে ব্রিটিশ ভিসা ইস্যু করার বিষয়টি তিনি বিবেচনায় রেখেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh