মধ্যপ্রাচ্যের দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এবার বড় বিক্ষোভ হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র পাকিস্তানে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) করাচিতে এ সমাবেশে অংশ নেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষ।
এ সময় তারা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেন। খবর আরব নিউজের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দেশটির বন্দরনগরী করাচিতে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। প্ল্যাকার্ড আর ফিলিস্তিনের শত শত পতাকা হাতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে করাচির রাজপথ।
ইসরায়েল গাজায় প্রকাশ্যে গণহত্যা চালাচ্ছে বলে উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলের নেতারা। নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যার পাশাপাশি সম্প্রতি কাতারে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানান সমাবেশে যোগ দেয়া বক্তারা।
তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে ভণ্ড রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। মিথ্যা বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও। কাতারে ইসরায়েলি হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্র জানতো। দেশটির এই হামলার বিরোধিতা করা উচিত ছিল। এটা মানব ইতিহাসে একটি জঘন্য ঘটনার নজির হয়ে থাকল।
এ দিকে করাচিতে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অংশ নেন শিক্ষকরাও। ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী-খুনি আখ্যা দিয়ে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যার নিন্দা জানান তারা। বলেন, বিশ্বনেতাদের প্রতি গাজা যুদ্ধ বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। প্রায় দুই বছর ধরে চলতে থাকা এই মানবতাবিরোধী হত্যাযজ্ঞ নিয়ে মুসলিম বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
কর্মকর্তারা বলছেন, হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে উপত্যকায় প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ৬৫ হাজার। তেল আবিবের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা উপত্যকা। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ৯০ শতাংশ ফিলিস্তিনি।
সূত্র: আরব নিউজ