নেপালে জেনারেশন-জি বা জেন জি প্রজন্মের হাজারো তরুণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওদেল। এই অধ্যাদেশের ফলে, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরও ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করার সুযোগ পাচ্ছেন নতুন ভোটাররা।
এর আগে ২০১৭ সালের ভোটার নিবন্ধন আইনের ৪ নম্বর ধারা, উপধারা ২ (২) অনুযায়ী, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর নতুন ভোটার নিবন্ধন নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে শপথ পড়ানোর রাতেই প্রেসিডেন্ট আগামী ৫ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেন।
ফলে আইন সংশোধন না হলে যারা সদ্য ভোটার হওয়ার বয়সে পৌঁছেছেন, তাদের অনেকেই ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হতেন।
এই পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রেসিডেন্ট জারি করা অধ্যাদেশের মাধ্যমে পুরোনো ধারা বাতিল করে নতুন বিধান সংযোজন করা হয়েছে। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করা যাবে।
নেপাল নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র নারায়ণ প্রসাদ ভট্টরাই জানান, এখন থেকে প্রথমে ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তবেই প্রচলিত নিয়মে নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, ১২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার দিনই পার্লামেন্ট ভেঙে দেন সুশীলা কার্কি। তার সরকারে নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওম প্রকাশ আচার্য ঘোষণা দেন, ভোট দেওয়ার যোগ্য হলেও যারা বাদ পড়েছেন, তাদের নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হবে।
এছাড়া তিনি জানান, প্রবাসী নেপালিদের ভোটাধিকার নিয়েও কাজ চলছে এবং এ বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি গবেষণা দল গঠন করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট পাওদেলের এই অধ্যাদেশকে জেনারেশন-জির জন্য একটি বড় জয় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। উল্লেখযোগ্য যে, দুর্নীতি ও দুর্বল শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে জেন জি প্রজন্মের আন্দোলনের মুখেই সাবেক সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়, এবং কার্কির অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসে। এখন সেই তরুণরাই ব্যালটের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
সূত্র: দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট