স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ জানিয়েছেন, গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর পথে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ড্রোন হামলার শিকার হওয়া গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলা রক্ষায় ইতালির সঙ্গে স্পেনও যুদ্ধজাহাজ পাঠাবে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) যোগ দেওয়ার ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সানচেজ বলেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা আবশ্যক এবং ৪৫টি দেশের নাগরিকরা এই মানবিক ত্রাণ মিশনে অংশ নিচ্ছেন। তাদের ভূমধ্যসাগরে নিরাপদে চলাচলের পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
তিনি বলেন, “স্পেন সরকার দাবি করছে, আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা হবে এবং ভূমধ্যসাগরে আমাদের নাগরিকদের নিরাপদ চলাচলের অধিকারকে সম্মান জানানো হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আগামীকাল আমরা কার্তাহেনা থেকে একটি নৌযান পাঠাবো, যা প্রয়োজন হলে ফ্লোটিলাকে সহায়তা করবে এবং উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবে।”
বুধবার রাতে কর্মীরা জানান, ইসরায়েলি ড্রোন ও অন্যান্য যুদ্ধবিমান ফ্লোটিলার ছোট বহরকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। আয়োজকেরা এটিকে “চরম বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধি” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
বহু নৌযানকে নিচুতে উড়ে আসা ড্রোন লক্ষ্য করে, যেগুলো ফ্ল্যাশব্যাং ধরনের বিস্ফোরক ও অন্যান্য “অজ্ঞাত বস্তু” ছুড়ে মারে বলে যাত্রীরা জানান। পাশাপাশি ইচ্ছাকৃতভাবে রেডিও সংকেত ব্যাহত করে জাহাজগুলোর মধ্যে যোগাযোগে ব্যাপক বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়েছে।
ড্রোন হামলার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ইতালির নৌবাহিনী জানায়, তারা ফ্লোটিলার উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য একটি ফ্রিগেট পাঠাবে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইদো ক্রোসেত্তো রাতের এই হামলার নিন্দা জানান।
ইতালির বামপন্থী বিরোধী দলের দুই সংসদ সদস্যও ফ্লোটিলায় অংশ নিয়েছেন। বর্তমানে প্রায় ৫০টি বেসামরিক নৌযান নিয়ে গঠিত এই বহরে বিপুল পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী রয়েছে এবং তারা ইসরায়েলের সমুদ্র অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছে।
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি বলেন, “ইতালির নাগরিকরা, সংসদ সদস্য ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরাও (এমইপি) ফ্লোটিলায় রয়েছেন।” এ ছাড়া মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিক এবং সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকারী গ্রেটা থানবার্গও এই উদ্যোগে অংশ নিচ্ছেন।