গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দীর্ঘ এক মাস আড়ালে থাকার পর অবশেষে প্রকাশ্যে এসেছেন নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। জেনারেশন জেড (জেন-জি) তরুণদের নেতৃত্বে হওয়া আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা হারানোর পর শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তিনি তাঁর দলীয় যুব সংগঠন 'গুন্ডু'-এর আয়োজিত এক সমাবেশে অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে অলি স্পষ্ট করে বলেন, “অনেকে ভাবছেন, আমরা এই ভিত্তিহীন সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাব। কিন্তু আমি নেপাল ছেড়ে যাব না।”
তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “আমরাই এই দেশকে পুনর্গঠন করব। আমরা আবারও সংবিধানের মূলধারায় ফিরিয়ে আনব নেপালকে। আমরা দেশকে শান্তি ও সুশাসনের পথে নিয়ে যাব।”
কেপি শর্মা অলি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি অভিযোগ করেন, এই সরকার জনগণের ভোটে বা ম্যান্ডেট নিয়ে আসেনি, বরং তারা এসেছে সহিংসতা ও রাস্তায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করে।
অলি জোর দিয়ে বলেন, আন্দোলনের সময় তিনি কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন না। একই সঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন—আন্দোলনের সময় তিনি প্রশাসনকে কী কী নির্দেশনা দিয়েছিলেন, তার রেকর্ড প্রকাশ করার জন্য।
অলি আরও অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার তার অধিকার খর্ব করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি দাবি করেন, সুশীলা কার্কির প্রশাসন তার এবং তার মন্ত্রিসভার অনেক প্রভাবশালী সদস্যের পাসপোর্ট জব্দ করার পরিকল্পনা করছে। অলি বলেন, “এভাবে আমাদের চলাফেরার স্বাধীনতা হরণ করা হবে।”
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর সহায়তায় আন্দোলনের তীব্র ধাক্কা থেকে রক্ষা পাওয়ার পর থেকেই অলি আড়ালে ছিলেন। হঠাৎ তার এই প্রকাশ্যে আসা নেপালের রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট