পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে সদ্য স্বাক্ষরিত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে তেহরানেরও যোগদান করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি।
জিও নিউজের কাছে ইরান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ইরানের এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেছেন, চার মুসলিম রাষ্ট্র—ইরান, সৌদি আরব, পাকিস্তান এবং ইরাক—একযোগে একটি সম্মিলিত প্রতিরক্ষা চুক্তিতে উপনীত হতে পারে।
ইরানের এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার মন্তব্য ইসলামাবাদ এবং রিয়াদের মধ্যে সম্প্রতি সই হওয়া একটি কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে করা হয়েছে।
যা কয়েক দশক ধরে চলমান নিরাপত্তা অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করে। যে চুক্তি অনুযায়ী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, দুই দেশের ওপর যেকোনো আক্রমণকে উভয় দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে গণ্য করা হবে।
কাতারের ওপর ইসরায়েলের হামলার কয়েকদিন পর চুক্তিটি করা হয়। রিয়াদে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
তাদের যুক্তি, এই পদক্ষেপ কেবল পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্ককে শক্তিশালী করে না বরং দক্ষিণ এশিয়া এবং ইসলামী বিশ্বের জন্যও ব্যাপক তাৎপর্য বহন করে।
এদিকে, প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে গিয়ে জেনারেল সাফাভি এটিকে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেন এবং বলেন যে, এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব হ্রাস পাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে, ‘আমরা একটি আঞ্চলিক ইসলামী জোট প্রতিষ্ঠা করতে পারি’ মন্তব্য করেন সাফাভি।