নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণার মাত্র ১৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু ও তার সরকার। সরকারের বিরুদ্ধে মিত্র ও বিরোধী পক্ষের পতনের হুমকির মুখে তিনি এই পদক্ষেপ নেন বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে। এর ফলে ফরাসি স্টক মার্কেট ও ইউরোর মূল্য ব্যাপকভাবে পতন ঘটে এবং দেশটির চলমান রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর হয়।
সোমবার (৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
রয়টার্স বলছে, এই অপ্রত্যাশিত ও নজিরবিহীন পদত্যাগ ফ্রান্সের রাজনীতিতে আরেকটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ফার-রাইট ন্যাশনাল র্যালি পার্টি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে অবিলম্বে একটি স্ন্যাপ পার্লামেন্টারি নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী লেকর্নু রোববার নতুন মন্ত্রিসভার ঘোষণা দেন এবং সোমবার বিকেলে তাদের প্রথম মিটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই মন্ত্রিসভা নিয়ে মিত্র ও বিরোধী উভয় পক্ষই অসন্তোষ প্রকাশ করে, কেউ বলেছে এটি খুব বেশি ডানপন্থী, আবার কেউ বলেছে যথেষ্ট ডানপন্থী নয়।
এরপর সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে লেকর্নু প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন।
প্রেসিডেন্টের দপ্তর এলিসি থেকে জানানো হয়, ‘সেবাস্তিয়ান লেকর্নু তার সরকারের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছেন এবং রাষ্ট্রপতি তা গ্রহণ করেছেন।’
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ম্যাক্রোঁ পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ফরাসি রাজনীতি ক্রমাগত অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। কারণ পার্লামেন্টে কোনো দল বা জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।
গত বছর ম্যাক্রোঁর ডাকা স্ন্যাপ পার্লামেন্টারি নির্বাচন পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে, যেখানে একটি আরও খণ্ডিত পার্লামেন্ট তৈরি হয়। মাত্র এক মাস আগে নিযুক্ত লেকর্নু ছিলেন ম্যাক্রোঁর দুই বছরে পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী।
ন্যাশনাল র্যালির নেতা জর্ডান বারদেলা লেকর্নুর পদত্যাগের পর বলেন, ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বিলুপ্ত না করে এবং নতুন নির্বাচন না দিয়ে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’