× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

বিধ্বস্ত গাজায় নতুন বিপদের শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।

১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৪৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত।

যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ফিরে আসা মানুষের জন্য নতুন আতঙ্ক হয়ে উঠেছে বিপুল পরিমাণ অবিস্ফোরিত বোমা ও গোলা। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, এসব বিস্ফোরক যেকোনো সময় ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তাই গাজা শহরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মাইন ও বিস্ফোরকমুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপি জানায়, বেসরকারি সংস্থা হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল সতর্ক করেছে যে, গাজার সাধারণ মানুষ এখন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ চলাকালে গাজার ওপর প্রায় ৭০ হাজার টন বিস্ফোরক নিক্ষেপ করা হয়েছিল।

মাইন ও অবিস্ফোরিত গোলা অপসারণে অভিজ্ঞ সংস্থাটির পরিচালক অ্যান-ক্লেয়ার ইয়াইশ বলেন, “গাজায় যে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে, তাতে স্তরে স্তরে ধ্বংসস্তূপ জমে আছে। এর সঙ্গে পরিবেশগত জটিলতাও যুক্ত হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে।”

এদিকে জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিস চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, গাজায় নিক্ষিপ্ত মোট বিস্ফোরকের ৫ থেকে ১০ শতাংশ এখনো ফাটেনি। তবে টানা দুই বছরের অবরোধের কারণে সংস্থাটির প্রতিনিধিরা এখনো গাজায় প্রবেশ করে বৃহৎ পরিসরে সমীক্ষা চালাতে পারেননি। ফলে অবিস্ফোরিত অস্ত্রের সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।

ইউএনএমএএস জানায়, আগামী দিনে তাদের মূল মনোযোগ থাকবে ধ্বংসস্তূপ অপসারণে, যাতে নিরাপদ উদ্ধার ও পুনর্গঠনের কাজ এগিয়ে নেওয়া যায়। বিশেষ করে যেসব সড়ক দিয়ে হাজারো বাস্তুচ্যুত মানুষ ঘরে ফিরছেন, সেসব সড়কের পাশে জমে থাকা ধ্বংসাবশেষ দ্রুত সরিয়ে ফেলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রমবিষয়ক কার্যালয় জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে বিস্ফোরক থাকার আশঙ্কা রয়েছে। অল্পসংখ্যক সাঁজোয়া যান থাকায় সীমিত পরিসরে নিরাপত্তা যাচাইয়ের কাজ চলছে।

অন্যদিকে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট অন্য সংস্থা জানিয়েছে, এখনো তারা ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের অনুমতি পায়নি যার মাধ্যমে অবিস্ফোরিত বোমা ধ্বংসের সরঞ্জাম গাজায় প্রবেশ করানো সম্ভব হবে।

ইউএনএমএএস বলেছে, তাদের তিনটি সাঁজোয়া যান গাজার সীমান্তে অপেক্ষমাণ রয়েছে। অনুমতি পেলেই বড় পরিসরে নিরাপদ অপসারণ অভিযান শুরু করা হবে।

এদিকে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি জানিয়েছে, গাজার পুনর্গঠনে প্রয়োজন হবে ৭০ বিলিয়ন ডলার। দুই বছরব্যাপী যুদ্ধের ফলে ইতোমধ্যে প্রায় ৫ কোটি ৫০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ জমে আছে, যা সরিয়ে ফেলা এখন গাজার পুনর্জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

সূত্র : উর্দু নিউজ

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.