মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০-দফা শান্তি চুক্তির অধীনে গাজা উপত্যকায় মিশরের নেতৃত্বে একটি যৌথ স্থিতিশীলতা বাহিনী গঠন করা হবে। এ বাহিনীতে কমপক্ষে ৪ হাজার সৈন্য থাকবে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সূত্রের বরাত দিয়ে আমিরাতের সংবাদপত্র দ্য ন্যাশনাল এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, এই দলে আজারবাইজান, তুরস্ক এবং ইন্দোনেশিয়ার সৈন্যরাও থাকবে। তবে দেশগুলো এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেনি।
সংবাদপত্রের সূত্র বলছে, স্থিতিশীলকরণ বাহিনী ভারী অস্ত্র ব্যবহার করবে না এবং মূলত আত্মরক্ষামূলক আগ্নেয়াস্ত্র এবং সাঁজোয়া যানের ওপর নির্ভর করবে। কার্যনির্বাহী সদস্যরা শান্তিরক্ষী বাহিনীর মতোই কাজ করবেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ অনুসারে, ইসরায়েল যে এলাকা থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করেছে, সেখানে এই সৈন্যদের মোতায়েন করা হবে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী যখন আরও সৈন্য প্রত্যাহার করবে, তখন এই বাহিনী তাদের মোতায়েনের ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত করবে।
তবে সূত্রগুলো উল্লেখ করেছে, স্থিতিশীলকরণ বাহিনী সীমান্তের গাজা পার্শ্বে অবস্থিত প্রস্তাবিত ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা স্ট্রিপে প্রবেশ করবে না।
আন্তর্জাতিক দলটি মাঠ পর্যায়ে হাসপাতাল স্থাপন এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ৩ হাজার স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানও তত্ত্বাবধান করবে।
সংবাদপত্রটির সূত্র অনুসারে, আন্তর্জাতিক সেনা মোতায়েন ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্যায়ের অংশ।
গত ৯ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইসরায়েল এবং হামাস একটি শান্তি পরিকল্পনার চুক্তিতে পৌঁছেছে। প্রথম পর্যায়ে মধ্যে সমস্ত বন্দিদের মুক্তি এবং ইসরায়েলি সৈন্যদের একটি রেখার বাইরে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
১০ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। তবে উভয় পক্ষই তখন থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।