পাকিস্তান সরকার বিচার বিভাগ ও সামরিক কাঠামোয় ব্যাপক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনী বিল সিনেটে উপস্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর শনিবার এই বিলটি সিনেটে পেশ করা হয় এবং পরে আইন ও বিচারবিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার সিনেটে বিলটি উত্থাপন করে বলেন, এই ২৭তম সংশোধনীটি ২০০৬ সালে স্বাক্ষরিত 'গণতন্ত্রের সনদ'-এর অংশ হিসেবে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ছিল।
খসড়ায় সংবিধানের ২৪৩ অনুচ্ছেদে সংশোধন এনে সামরিক কাঠামোয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে:
‘চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি (CJCSC)’ পদ বিলুপ্ত করে নতুন পদ ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ সৃষ্টি করা হবে (যা ২৭ নভেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর)।
সেনাপ্রধান একইসঙ্গে ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’-এর দায়িত্বও পালন করবেন।
ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব দ্য এয়ার ফোর্স এবং অ্যাডমিরাল অব দ্য ফ্লিট—এই সম্মানসূচক উপাধিগুলো আজীবন বহাল রাখার এবং তা বাতিলের ক্ষমতা শুধু সংসদের হাতে রাখার বিধান রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’-এর সুপারিশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের কমান্ডার নিয়োগ দেবেন।
বিচার বিভাগীয় সংস্কারের অংশ হিসেবে, বিলটিতে নতুন একটি ‘ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট’ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সুপ্রিম কোর্টের কিছু সাংবিধানিক ক্ষমতা গ্রহণ করবে।
প্রস্তাবিত আদালতে দেশের সব প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
আদালতের বিচারক নিয়োগে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।
আদালতের বিচারকের সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষমতা থাকবে সংসদের হাতে।
ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্টের প্রধান বিচারপতির মেয়াদ হবে তিন বছর।
এছাড়াও, এই সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতি আজীবনের জন্য ফৌজদারি মামলা থেকে অব্যাহতি পাবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।