ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে সম্ভাব্য সামরিক অভিযান বা নীতিগত পদক্ষেপ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন। যদিও তিনি কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি। খবর সিএনএন ও আনাদোলুর।
গত শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) এয়ার ফোর্স ওয়ানের ভেতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, "আমি আপনাদের বলতে পারব না, কিন্তু হ্যাঁ, আমি মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি।" তিনি আরও দাবি করেন যে, মাদকদ্রব্য প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র "উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি" করেছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের প্রবাহ কমে এলেও প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো এবং কলম্বিয়ার পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগের কারণ।
এদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র 'নার্কো-টেররিস্টদের' দমন করতে নতুন সামরিক মিশন 'অপারেশন সাদার্ন স্পিয়ার' শুরু করছে। তিনি সামাজিক মাধ্যম এক্সে লেখেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন এবং প্রতিরক্ষা দপ্তর তা বাস্তবায়ন করছে।
সিএনএনের খবর অনুযায়ী, এই সপ্তাহে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা হোয়াইট হাউসে বৈঠকে ট্রাম্পকে ভেনেজুয়েলায় সম্ভাব্য স্থলভাগে হামলার বিষয়সহ সামরিক অভিযানের বিষয়ে ব্রিফ করেছেন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র কমপক্ষে এক ডজন যুদ্ধজাহাজ এবং প্রায় ১৫ হাজার সৈন্য এই অঞ্চলে মোতায়েন করেছে, যা 'অপারেশন সাদার্ন স্পিয়ার'-এর অংশ।
অপরদিকে, ভেনেজুয়েলাও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়মিত সেনাবাহিনী ও অসামরিক মিলিশিয়াদের মোতায়েন বাড়িয়েছে। গত দুই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী দক্ষিণ আমেরিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে যাওয়া ন্যূনতম ২১টি নৌযানে হামলা চালিয়েছে, যাতে ৮০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
সব মিলিয়ে, ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নতুন করে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।