ওয়াশিংটনের বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি দেখে মনে হয় না যে তারা ‘সমান ও ন্যায্য আলোচনা’ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। পারমাণবিক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে রোববার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এই মন্তব্য করেছেন।
এর আগে, গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরু হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। গত জুনে ইসরায়েলের ইরানে হামলার পর তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ওই হামলায় ইসরায়েলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রও। তেহরানের ভূগর্ভস্থ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতি করার দাবি জানায় ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্র ও এর ইউরোপীয় মিত্র এবং ইসরায়েল অভিযোগ করে বলেছে, ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচিকে অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জনের উপায় হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে ইরান বলছে, তাদের কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে।
জুনের ১২ দিনের যুদ্ধের আগে তেহরান ও ওয়াশিংটন পরোক্ষভাবে পাঁচ দফা পারমাণবিক আলোচনা করেছিল। তবে আলোচনায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চায় না যুক্তরাষ্ট্র।
তেহরানে ‘আন্তর্জাতিক আইন আক্রান্ত’ শীর্ষক এক সম্মেলনে আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, যুদ্ধে যা অর্জন করতে পারেনি, আলোচনায় তা পাওয়ার আশা করতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, ইরান সবসময় কূটনীতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তবে চাপিয়ে দেওয়ার মতো আলোচনার জন্য প্রস্তুত নয়।
একই সম্মেলনে ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খতিবজাদে অভিযোগ করে বলেন, ওয়াশিংটন ‘‘শুধু দেখানোর জন্য আলোচনা করে’’ এবং যুদ্ধকালীন লক্ষ্যই এগিয়ে নিতে চায়।
সূত্র: রয়টার্স।