যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পেনসিলভেনিয়া রাজ্যের অদ্ভুত সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ বা ভূদৃশ্য দেখতে দেখতে চলেছেন ইয়র্ক কাউন্টির রাস্তা ধরে। হঠাৎই চোখে পড়ল বিশালাকায় এক জুতা। একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছেন আর অবাক হচ্ছেন জুতাটির বিশালতায়।
একদম কাছে গিয়ে আবিষ্কার করলেন, যেনতেন কোনো ভাস্কর্য নয়, এটি জুতার আদলে নির্মিত আস্ত একটি পাঁচতলা বাড়ি। ভেতরে জাদুঘর ও রেস্তোরাঁ। যেখানকার আইসক্রিম আবার সুপরিচিত।
কিন্তু এই আকৃতির দালান নির্মাণের নেপথ্য কারণ কী? কেনইবা পরে জাদুঘরে পরিণত করা হয় জুতা বাড়িটিকে?
‘দ্য হাইন্স সু হাউস’-এ কর্মরত, একাধারে কিউরেটর ও রেস্তোরাঁকর্মীদের তথ্য বলছে, দালানটির সম্মুখভাগ ছাড়া বাকি পুরোটাই জাদুঘর। প্রতিটি তলাতেই আছে বিশেষভাবে সাজানো কক্ষ। সেসব কক্ষ ঘুরতে ঘুরতেই পাওয়া যাবে অদ্ভুত সুন্দর আর মজার এই দালানসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য।
কর্নেল ম্যালন এন হাইন্সের জন্ম ওহাইও রাজ্যের ওল্ড ওয়াশিংটনে। জাত ব্যবসায়ী হাইন্সের ছিল জুতার কারবার। বয়স যখন ৩০, তখন অর্থাৎ সেই ১৯০৫ সালে তিনি চলে আসেন পেনসিলভেনিয়ার ইয়র্কে। খবর পেয়েছিলেন এখানে জুতার ব্যবসায় পসার ভালো হবে। সঙ্গে ছিল ১২৭ ডলারের জুতার চালান।
দিনে দিনে তার ব্যবসা এতই বেড়ে যায় যে পেনসিলভেনিয়া ও মেরিল্যান্ডজুড়ে ৪০টির বেশি দোকান খুলে ফেলেন তিনি। নিজে পরিণত হন লাখপতি ব্যবসায়ীতে। আর কর্মসংস্থান হয় বহু মানুষের।
জুতা বাড়ি বানানোর কাজ শুরু হয় ১৯৪৮ সালে। বাড়িটির মোট উচ্চতা ২৫ ফুট। চওড়ায় বাইরে থেকে ৪৮ ফুট আর ভেতরে ১৭। মোট ১৫০০ বর্গফুটের বাড়িটিতে রয়েছে তিনটি ঘর, দুটি বাথরুম, একটি বসার ঘর এবং একটি রান্নাঘর।