সম্পর্কে শান্তি এবং স্বস্তি থাকা সবচেয়ে জরুরি। কারণ ঘরে স্বস্তি থাকলে বিশ্বজয় করাও সহজ হয়ে যায়! তাই হাসিখুশি থাকা এবং পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। বিবাহিত পুরুষকে কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। কোনো প্রকারের ঝগড়া-ঝাটি হলে তা দ্রুত মিটিয়ে ফেলতে হবে। স্ত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখাই বুদ্ধিমান পুরুষের কাজ। জেনে নিন স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার উপায়-বিয়ের পরের জীবন কখনোই বিয়ের আগের মতো হবে না। অনেক পরিবর্তন, অনেক নতুনত্ব যোগ হয় বিয়ের পরে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেনে মানিয়ে নিতে না পারলে মুশকিল। তখন একটুতেই বেধে যেতে পারে ঝগড়া। জীবনের অন্যতম বড় পরিবর্তনের নাম হলো বিয়ে। এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন একটি পর্বের সূচনা হয়। 

দুজন দুজনার বন্ধু হোন

প্রেমিকও নাকি বিয়ের পর আর প্রেমিক থাকেন না, স্বামী হয়ে যান! আসলে প্রেমিক থাকাকালীন তো খুব বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয় না, যেটা বিয়ের পরে চলে আসে। ফলস্বরূপ, বিয়ের পরে কিছু পরিবর্তন আসেই। তবে স্বামী কিন্তু চাইলেই প্রেমিক হতে পারেন। স্ত্রীর ভালো বন্ধু হয়ে উঠলে সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। তখন আপনার সমস্যাগুলো আপনার স্ত্রীও সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন। 

পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সম্পর্কের যত্ন নিন

যে কোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্ক অপরিহার্য। স্বামী স্ত্রী হলে তো এর গুরুত্ব অপরিসীম।আপনার স্ত্রী আপনার জীবনেরই অংশ। তাকে অযত্নে ফেলে রাখবেন না। তার যত্ন নিন। কারণ অযত্নে ফেলে রাখা কিছু সুফল বয়ে আনতে পারে না। স্ত্রীর যত্ন নিলে সেও আপনাকে একইভাবে ভালোবাসবে। আপনি তাকে অনুভব করতে দিন সে আপনার কাছে কতটা প্রিয়, কতটা ভালোবাসার। এতে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়বে।

দুজনে মিলে ঘরের কাজ করতে চেষ্টা করুন

সময়-জীবনের প্রয়োজনে স্বামী- স্ত্রী দু’জনেই এখন কর্মজীবি। তাই সংসার যেহেতেু দুজনের ,পারিবারিক দায়দায়িত্ব দু’জনে ভাগ করে নিলে সবকিছু সহজ হয়ে যায়। কারো উপর বাড়তি চাপ পরেনা।  আবার একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দুজনের বোঝাপড়াও ভালো হবে। বাড়বে ভালোবাসাও।সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য ঘরের ভেতরে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। ব্যস্ততায় হয়তো সময় হয় না, তবে ছুটির দিন দেখে দুজনে মিলে ঘর পরিষ্কার করার কাজে নেমে পড়ুন। এতে সহজেই ঘর পরিষ্কার হবে। ঘরদোর পরিষ্কার থাকলে কিন্তু ভালো থাকে মনও।