ফলের মধ্যে সবচেয়ে ভিটামিন ও পুষ্টিগুন সম্পন্ন ফল হচ্ছে ডালিম বা আনার ফল। গবেষকেরা পুষ্টি বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, এক বাটি (১৪৪ গ্রাম) ডালিমে ৯৩ ক্যালরি শক্তি, ২ দশমিক ৩০ গ্রাম প্রোটিন, ২০ দশমিক ৮৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ০ দশমিক ১৪ গ্রাম ফ্যাট থাকে। তবে ডালিমের দাম খুব বেশি হওয়াতে অনেকে এটি এড়িয়ে চলেন। নিচে ডালিম খাওয়ার উপকারিতাগুলো জেনে নিন—
হাড়ের ব্যথা দূর করেঃ যারা হাড়ের ব্যথায় ভুগছেন তারা নিয়মিত ডালিম খেলে উপকার পাবেন। কারণ ডালিমে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান আথ্রাইটিস ও হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা দূর করতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এটি হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা হলে তাও উপশম করতে সাহায্য করে।
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করেঃ অনেকেরই ভুলে যাওয়ার রোগ আছে। প্রায় সবারই এমন সমস্যা ভোগ করতে হয়। ডালিমের রস খেলে এ সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, টানা চার সপ্তাহ বা প্রায় এক মাস ডালিমের রস খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। হার্ট সার্জারি বা আলঝেইমারস ডিজিজে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ডালিম খেলে বিশেষ উপকার পাবেন। পাশাপাশি শিশুরা খেতে পারে ডালিমের রস।
রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করেঃ রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে ডালিম অন্যতম ভূমিকা পালন করে। এতে থাকে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান যা এই কাজে সাহায্য করে। ফলে দূর হয় রক্তশূন্যতাসহ রক্তের অন্যান্য অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ভয়।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ নিয়মিত ডালিম খেলে হৃদরোগের আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই ফল আপনার শরীরের কোলস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে শরীরে রক্তচলাচল বৃদ্ধি পায়। এতে দূরে থাকে হৃদরোগের ঝুঁকি।
সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করেঃ আপনি যদি ইদানীং বারবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। সামান্য কারণেই অসুস্থতা দেখা দেয়। তাহলে বুঝতে হবে, আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে। এ জন্য প্রতিদিন ডালিমের রস খেতে পারেন। কারণ, ডালিমের রসে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী গুণাগুণ আছে। রোজ ডালিম খেলে শরীরের ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।