আমরা প্রতিদিন যা খাবার খাই, তার মাধ্যমেই আমাদের শরীর চলে। তাই আমাদের সুস্থতা অনেকটাই খাদ্যাভ্যাসের উপর নির্ভর করে। সম্প্রতি হাভার্ডের এক গবেষণায় জানা যায়, আমরা প্রতিদিন সাধারণত যে খাবার খাই তাতেই এমন ৫ টি খাদ্য উপাদান রয়েছে যা গোপনে ক্যান্সার সৃষ্টির কারণ হতে পারে।
তবে এর বিকল্প কিছু উপাদানও তারা খুঁজে বের করেছেন। এই খাবারগুলো শরীরে কেবল শক্তিই জোগাবে না, বরং শরীর কীভাবে কাজ করবে, সুস্থ থাকবে এবং শরীরের উন্নতি আনবে, তা নিশ্চিত করে। হাভারডের হরমোন বিশেষজ্ঞ ও পুষ্টিবিদ ড. ড্যাভিড লুডওয়িগের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্যগুলো তুলে ধরা হলো -
১. প্রক্রিয়াজাত মাংস (যেমন বেকন, সসেজ, হট ডগ)
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রক্রিয়াজাত মাংস কে আখ্যায়িত করা হয় গ্রুপ ১ কার্সিনোজেন হিসেবে। ফলে হতে পারে কোলোরেকটাল এবং পাকস্থলি ক্যান্সারের মতো শক্তিশালি ঝুঁকি।
বিকল্প:
বেছে নিন চর্বিহীন মাংস, তাজা মাছ অথবা উদ্ভিত-ভিত্তিক প্রোটিন যেমন ডাল, বিজ এবং সয়াবিজ।
২. রেড মিট
অত্যধিক পরিমাণে লাল মাংস গ্রহণ করলে বাড়তে পারে আপনার কোলন ক্যান্সার বা অগ্নাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি।
বিকল্প:
উদ্ভিদ জাতীয় খাবার যেমন-যেকোনো ধরনের শাক, বীজ এবং স্বাস্থ্যকর সালাদ।
৩. মিষ্টি পানীয় ( সোডা, এনার্জি ড্রিংকস)
বেশি পরিমাণে চিনি গ্রহণ করলে হতে পারে স্থুলতা। বাড়তে পারে কোলোরেক্টালসহ নানান ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি।
বিকল্প:
বিশুদ্ধ পানি ও লেবু পানি পান করুন বা পান করুন চিনিছাড়া হারবাল চা। খেতে পারেন ডাবের পানি।
৪. কার্বোহাইড্রেট
এসব খাবার রক্তে ক্রমাগত চিনির মাত্রা বাড়াতে থাকে যা কিনা স্তন ও প্রোস্টেট ক্যান্সারসহ নানান ধরনের ক্যান্সার বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত।
বিকল্প:
বেঁছে নিন লাল চাল, গমের রুটি, অটস এবং ভুট্টা। এতে আছে উচ্চ-ফাইবার যা রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে
৫. প্রক্রিয়াজাতক প্যাকেটজাত খাবার
এগুলোতে আছে অনেক ক্ষতিকারক উপাদান যা বেশি গ্রহণ করলে হতে পারে মাইক্রোবায়োম ব্যাঘাত, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনালসহ অন্যান্য ক্যান্সার।
বিকল্পঃ
বেঁছে নিন ঘরোয়া বা হালকা ভাজা খাবার যেমন ছোলা, হালকা ভাজা বাদাম, টক দইয়ের সাথে ফল অথবা বেক করা আলু ভাজা।