বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিসের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কোলেস্টেরল। জীবনযাপনে একটু উলট পালট হলেই বেড়ে যায় খারাপ কোলেস্টেরল। তাই শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হার্ট ভালো রাখতে হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত যত্ন নেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে উপকারে আসতে পারে কিছু শুকনো ফল।
কী সেসব ফল, জেনে নিন
আমলকি, হরতকি, বয়রা এই মিশ্রণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে খারাপ কোলেস্টেরল। গোটা অবস্থায় পানিতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন রাতে। রাতভর এই তিনটি উপাদান পানিতে ভিজিয়ে সকালে খেলে কমতে পারে কোলেস্টেরল ৷
শরীরে ডিটক্স করতে বিশেষভাবে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে ত্রিফলা। শিরা-উপশিরা, ধমনী দিয়ে রক্তের সংবহণ হয়ে থাকে।
কিন্তু খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ চিপচিপে একটি পদার্থ শরীর স্বাস্থ্য অত্যন্ত ভালো রাখে। এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
ত্রিফলার মধ্যে ওষুধি গুণ প্রচুর পরিমাণে থাকে। এতে শরীর অত্যন্ত ভালো থাকে।
এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইবার গুণ শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল টেনে বের করতে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্রিফলা রক্তপ্রবাহের রাস্তা পরিষ্কার করে দেয়। এটি সেবন করলে শরীর অত্যন্ত পরিমাণে ভালো থাকে। রক্তনালীর মধ্যে যাবতীয় পচা, খারাপ ও গন্ধ জাতীয় জিনিসপত্র বের করে দেয়। এর ফলে শরীর থাকে এক্কেবারে টানটান।
ত্রিফলা গুঁড়া বা ভেজানো পানি পান করলে শরীর এক্কেবারে হালকা পালকের মতো হয়ে যায়। ওজন নির্দিষ্ট করে শরীর থাকে অত্যন্ত ভালো। ত্রিফলা ও অন্য সামগ্রী হার্টের ধমনী পরিষ্কার করতে বিশেষভাবে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমতে পার।
ত্রিফলাতে অ্যান্টি-ইমফ্লেমেটরি উপাদান থাকে, যা শরীরকে অত্যন্ত ভালো রাখে। ব্যথা ও যন্ত্রণা দূরে রেখে হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে এটি। ২ চা চামচ ত্রিফলার সঙ্গে ১ চা চামচ মেথি গুঁড়া, এক চামচ জোয়ান গুঁড়া মিশিয়ে নিতে হবে। একটি পাত্রে ত্রিফলা চূর্ণ, মেথি চূর্ণ, জোয়ান পাউডার মিশিয়ে ফেলতে হবে। সবগুলোকে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে এই মিশ্রণটি এক চা চামচ মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলে কোলেস্টেরল দূর করার সঙ্গে শরীরও থাকবে ভালো।