বাঙালির রান্নাঘরে যে মসলাগুলো অবশ্যই থাকে তার মধ্যে হলুদ একটি। ডাল হোক কিংবা ভাজি, ভুনা কিংবা ঝোল—সব তরকারিতেই হলুদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। তাছাড়া স্বাস্থ্যের জন্যও এটি উপকারি। তাই হলুদ খাওয়া পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। আয়ুর্বেদে ওষুধ হিসেবে হলুদ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কিডনির সমস্যা থাকলে কি হলুদ খাওয়া যায়? নাকি এটি কিডনিতে পাথর জমার কারণ হতে পারে?
সাধারণত হলুদ কিডনির জন্য উপকারী। কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে এটি। হলুদে থাকা কারকিউমিন যৌগ, দেহে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি দেহের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এবং ক্রনিক অসুখের ঝুঁকি কমায়। তাই কিডনি ও রেচনতন্ত্রের জন্য উপকারী হলুদ। কিন্তু তা খেতে হবে সঠিক পরিমাণে।
বেশি হলুদ খেলে কি কিডনির ক্ষতি?
হলুদে থাকা কারকিউমিন ইউরিনে অক্সালেটের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এর জেরে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তার মানে এই নয় যে হলুদ বেশি খেলেই কিডনিতে পাথর হবে। যদি আপনার কিডনি ঠিকমতো কাজ না করে কিংবা কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকে, সেক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত হলুদ খেলে সমস্যা হতে পারে।
আবার কেউ যদি রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, সেক্ষেত্রেও বিপদে পড়তে পারেন। অতিরিক্ত হলুদ খেলে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হতে পারে।
কতটা পরিমাণ হলুদ খাওয়া নিরাপদ?
প্রতিদিন ৫০০ থেকে ২০০০ মিলিগ্রাম হলুদ খাওয়া একদম নিরাপদ। অর্থাৎ, ১-৩ চা চামচ হলুদ খেতে পারেন। যারা কাঁচা হলুদ খান তাদেরও পরিমাণের দিকে নজর দিতে হবে। অনেকেই কারকিউমিন সাপ্লিমেন্টও খান, সেক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। হলুদ উপকারী বলে এটি মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া চলবে না।