ছবি: সংগৃহীত
রূপচর্চা কেবল মেয়েদের জন্য প্রয়োজন এই ধারণা ভুল। পুরুষদের ও ত্বকের ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরি। নিজেকে সতেজ, লাবণ্যময় আর তারুণ্যদীপ্ত রাখতে রূপচর্চার জুড়ি নেই। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে ধীরে ধীরে ছেলেরা ত্বকের বিষয়ে যত্নবান হচ্ছেন। তবে সংখ্যাটা কম। কিন্তু ত্বককে ভালো রাখতে রূপচর্চা বিষয়টিতে অভ্যস্ত হওয়াটা খারাপ না।
পুরুষের ত্বক নারীদের ত্বকের চেয়ে কিছুটা আলাদা বৈশিষ্ট্যের। তাই তাদের ত্বকের যত্ন নিতে হবে ভিন্নভাবে। আসুন কীভাবে পুরুষরা ত্বকের যত্ন নেবেন জেনে নেওয়া যাক।
সেভের পরে:
যারা নিয়মিত সেভ করেন তাদের জন্য সেভের পরে সেভিং ক্রিম, জেল ও লোশন মাখাটা জরুরি। অনেকে এই ব্যাপারে সচেতন না, কাজটা অনেকেই কোনো রকম সেরে ফেলেন। এর ফলে অনেকের মুখের ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া বাসায় ট্রিম করার পরও ক্রিম লাগানো আবশ্যক।
ফেসওয়াশ ব্যবহার:
মুখ ধুতে সাধারণ সাবানের পরিবর্তে ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত। এখন বাজারে ছেলেদের জন্য আলাদা ফেসওয়াশ পাওয়া যায়। সেখান থেকে নিজের ত্বক অনুযায়ী ফেশওয়াস ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ফেসওয়াশ ব্যবহারের মুখের ত্বকে জমে থাকা ধুলাবালি দূর হয়। এছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়ে।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার:
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বক ধীরে ধীরে কোলাজেন ও ইলাস্টিন হারাতে থাকে, দেখা দেয় সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখা। তাই পুরুষদের ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ভালো ফলাফল পেতে গোসলের পরপরই দেহ ও মুখে ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে। ত্বককে ময়েশ্চারাইজার মাধ্যমে আর্দ্র রাখলে বার্ধক্যের লক্ষণগুলো দেরিতে আসবে।
প্রতিরক্ষায় সানস্ক্রিন:
বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। সানস্ক্রিন সূর্যের আলোর ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। কম্পিউটার বা মোবাইলের পর্দা থেকে যে অতিবেগুনি রশ্মি নির্গত হওয়া ক্ষতিকর উপাদান থেকেও ত্বককে রক্ষা করে। পানিরোধক, এসপিএফ ৩০ বা এর চেয়ে বেশি মাত্রার সানস্ক্রিন প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া সাঁতার কাটা বা ঘেমে যাওয়ার পরপরই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
স্ক্রাবিং করা:
রোদ, ধুলাবালি ইত্যাদির কারণে ত্বক বিশেষ করে মুখের ত্বক বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মুখের ত্বক ঠিক রাখতে নারীদের মতো পুরুষরাও স্ক্রাবিং করতে পারেন। এতে ত্বকের কোষ ভেতর থেকে পরিষ্কার থাকে। আবার মরা কোষও দূর হয়। ফেশওয়াশ ত্বকের গভীর থেকে ময়লা তুলে আনা যায় না। শুধু মুখের উপরিভাগের অংশ পরিষ্কার করে। কিন্তু স্ক্রাবিং মুখের ত্বকের লোমকূপগুলোর ভেতরের অংশও পরিষ্কার করে। বাজারে ভালো মানের স্ক্রাব পাওয়া যায়। সেখান থেকে নিজের ত্বক অনুযায়ী স্ক্রাব কিনতে পারেন। প্রথমে মুখে পানি দিয়ে নিন। তারপর আঙুলে অল্প পরিমাণ স্ক্রাব ক্রিম নিয়ে পুরো মুখমণ্ডলে আলতো করে ঘষতে থাকুন। ২-৩ মিনিট ঘষার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। স্ক্রাব করে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। স্ক্রাবিংয়ের মাধ্যমে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভালো দিক হলো নিয়মিত স্ক্রাবিং করলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না। চোখের নিচের কালিও পড়ে না। সপ্তাহে ১ বা ২ দিন করতে পারেন।
ঘরে বসে স্ক্রাব বানাতে পারেন:
এক টেবিল চামচ ওটস নিয়ে তার সঙ্গে এক টেবিল চামচ জলপাই তেল ও এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট বানান। এবার সেটা মুখে ঘষে মিনিট দুই পর ধুয়ে ফেলুন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh