কাঁচা দুধ ত্বকের যত্নে এক বহুল পরিচিত উপাদান। যারা ত্বক নিয়ে সচেতন তারাই এর ব্যবহার করে থাকেন। এর ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল হবে। ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার হবে। কেননা কাঁচা দুধ প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। সেইসঙ্গে ত্বকের গভীরে থাকা ময়লা দূর করে ত্বককে আর্দ্র রাখতেও ভূমিকা রাখে।
ত্বকের কালচে দাগ এবং রোদে পোড়া ভাব দূর করতে কাঁচা দুধ উপকারী। এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের রঙের অসমতা দূর করে। ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মরা কোষ দূর করে। ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টি যোগাতে, ত্বক নরম ও মসৃণ করতে, ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে দুধের বিকল্প নেই।
কাঁচা দুধ ও হলুদের গুঁড়ো
পাত্রে ১ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ এবং ১ চা চামচ গুঁড়ো হলুদ মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে মেখে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। হলুদের গুঁড়ো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ। তাই এই প্যাকের ব্যবহারে ব্রণ, পিগমেন্টেশনের কালচে দাগ দূর হবে।
কাঁচা দুধ ও মধু
পাত্রে সমপরিমাণে কাঁচা দুধ ও মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এ প্যাক ত্বকের আর্দ্রতা ফেরাবে, উজ্জ্বলতা বাড়াবে।
চালের গুঁড়ো ও কাঁচা দুধ
চালের গুঁড়োর সঙ্গে কাঁচা দুধ ও মধু মিশিয়ে একটি মাস্ক তৈরি করুন। এটি মুখে লাগিয়ে ৭-১০ মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। স্ক্রাবার হিসেবে এটি বেশ উপকারী। এর ব্যবহারে ত্বকের মরা চামড়া দূর হবে। তবে সংবেদনশীল ত্বকে কাঁচা দুধ ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বক লালচে হয়ে যেতে পারে।