বিয়ে মানুষের জীবনের অন্যতম বড় একটি সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে নিজের পাশাপাশি জড়িয়ে থাকে অন্য একজন মানুষের ভাগ্যও। কাজেই বিবাহের সিদ্ধান্ত যদি নিয়েই ফেলেন তা হলে হবু জীবনসঙ্গীর ভালো-মন্দ সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকা আবশ্যিক। যদি সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় তবে প্রাক আলাপচারিতার সুযোগ এমনিতেই কিছু কমই মেলে। যারা সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে বিবাহের দিকে এগোন তাদেরও মাথায় রাখা প্রয়োজন যে, বিয়ের আগে ও পরের সম্পর্কের ব্যাকরণে কিছুটা হলেও পার্থক্য রয়েছে। কাজেই বিয়ের আগে কিছু কথোপকথন আবশ্যিক।
১। বিয়ের আগে আলোচনা করুন সঙ্গীর অর্থনৈতিক দিক নিয়ে। দাম্পত্য জীবনে পরস্পরের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। আর্থিক অবস্থা ভালো হোক বা খারাপ দু’জনে কীভাবে এগোতে চান তা বিয়ের আগেই আলোচনা করে নেওয়া ভালো।
২। বিবাহ মানেই সন্তান, এই ধারণা এখন প্রাগৈতিহাসিক। কাজেই সন্তানধারণ নিয়ে ভাবি জীবন সঙ্গীর কী মতামত তা জেনে নিন। অসম্মতি থাকলে আলোচনা করুন। অনেক ক্ষেত্রে চাইলেও সন্তানধারণে সক্ষম হন না অনেক দম্পতি, সে ক্ষেত্রে কী করণীয় হতে পারে আলোচনা করুন সেই ব্যাপারেও।
৩। বিয়ে শারীরিক সম্পর্কে সম্মতির চিহ্ন নয়। কাজেই শারীরিক সম্পর্কের জীবন নিয়ে আলোচনা করা অবশ্যই উচিত।
৪। বিয়ের আগে অবশ্যই কথা বলুন পরস্পরের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে। হীনমন্যতা বা মানসিক অবসাদ থেকে আনন্দ উদযাপনের পদ্ধতি। দু’জনের অনুভূতির পারদের ওঠানামা যেন অন্যের নখদর্পণে থাকে। সঙ্গীর নিরাপত্তাহীনতা বা মানসিক অবসাদে নিজের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে সম্যক ধারণা থাকলে কমে কলহের সম্ভবনা।
৫। বিয়েতে অনেক ক্ষেত্রেই দু’জন মানুষ ছাড়াও জড়িয়ে থাকে দুটি পরিবার। দু’জনের পরিবারের সঙ্গে দু’জনের কেমন রসায়ন তা-ও আগে থেকে জেনে নেওয়া ভালো। পাশাপাশি যদি সঙ্গীর আগে থেকেই সন্তান থাকে, সে ক্ষেত্রে সেই সন্তানকে কীভাবে কাছে টানবেন আলোচনা করুন তা নিয়েও।