রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ভিড় জমিয়েছেন শিল্প ও সাহিত্যপ্রেমীরা। ঢাকা লিট ফেস্টের দশম আসরের শেষদিন আজ। ফলে সকাল থেকেই হাজারও মানুষের পদচারণায় মুখর ছিল লিট ফেস্টের বিভিন্ন আয়োজন।
হিমেল আবহাওয়ায় রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় কীর্তনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে ঢাকা লিট ফেস্টের শেষ দিনের আয়োজন।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় এই সাহিত্য আসরের যোগ দিয়েছেন পাঁচ মহাদেশের পাঁচ শতাধিক বক্তা, সাহিত্যিক, লেখক, শিল্পী ও চিন্তাবিদ। ১৭৫টির বেশি অধিবেশনের চার দিনের এই আসরের শেষ দিনে সকাল ১০টায় ভবিষ্যতের বিজ্ঞান, ইংরেজি বাংলা সাহিত্যের ধাঁধা নিয়ে ছিল আলোচনা। এছাড়াও সারাদিনে শিশুদের নিয়েও ছিল নানা আয়োজন।
সকাল সোয়া ১১টায় নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক আব্দুলরাজাক গুনরাহ মুখোমুখি হন অ্যালেক্সান্দ্রা প্রিংগেলের। বিশ্বায়নের কালে ভবিষ্যতের কবিতা কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেন গৌতম গুহ রায়, সঙ্গে ছিলেন কবি আশরাফ জুয়েল ও মোহাম্মদ নুরুল হুদা। একই সময়ে শিশুদের বেড়ে ওঠা নিয়ে আলোচনা করেন শৈশবের পরিচালক ফারহানা মান্নান।
দুপুর সাড়ে ১২টায় ‘পুরুষত্ব বনাম পুরুষতন্ত্র’ বিষয়ে আলাপে বসেন অভিনয় শিল্পী ইরেশ জাকের, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহিন সুলতান, ব্র্যাক জেন্ডার, জাস্টিজ ও ডাইভারসিটি প্রোগ্রামের পরিচালক নবনীতা চৌধুরী, অভিনয় শিল্পী আজমেরী হক বাঁধন, তাকবীর হুদা ও আইনজীবী তাসাফফি হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন অভিনেত্রী বন্যা মির্জা।
‘ভুল তথ্যের যুগে স্বাস্থ্য’ নিয়ে আলোচনা করেন রেসা লুইস এবং বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা। ‘কোন বই পড়তে হবে! – এটি নির্ধারণ করবে কে?’ এ নিয়ে আলোচনা ছিল দুপুর পৌনে ২টায়। একই সময়ে ছিল ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা। খাবার বিষয়ে আলোচনা করেন রান্না বিষয়ক বই লেখক ও শেফ ভ্যালেন্টাইন ওয়ারনার, তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা লিট ফেস্টের পরিচালক আহসান আকবার। বিকাল সাড়ে ৫টায় নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে পর্দা নামে ঢাকা লিট ফেস্টের দশম আয়োজনের।
এরপর থাকছে চমক হিসেবে কোক স্টুডিও বাংলার কনসার্ট। এতে অংশ নিবেন অনিমেষ রায়, পান্থ কানাই, ঋতুরাজ, নন্দিতা, সুনিধি নায়েক, রুবায়াত রেহমান এবং বগা তালেব।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ন্যান্সি বলেন, আজ শেষ দিন কোক স্টোডিও বাংলার কনসার্ট আছে। ডিপার্টমেন্টের সব বন্ধুরা মিলে কনসার্টে অ্যাটেন্ড করতে এসেছি। আজকেই শেষ দিন, এর আগেও দুদিন এসেছিলাম। লিট ফেস্টে চারদিন খুবই কম সময় মনে হচ্ছে। আরো দুই-এক দিন বাড়িয়ে দিলে ভালো হতো। এই ফেস্টের মতো আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম আর অন্য কোথাও হয় না। সবমিলিয়ে শেষ মুহূর্তে অসম্ভব ভালো লাগছে। আগামী বছরের জন্য আবার অপেক্ষায় থাকবো।