‘একুশে বইমেলা ২০২৩’-এ প্রকাশিত হয়েছে যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এশরার লতিফের ইতিহাস ভিত্তিক উপন্যাস ‘নক্ষত্র-নূপুর’। বঙ্গভঙ্গ এবং প্রথম রুশ বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে লেখা বিপ্লব-রক্তক্ষয় আর প্রেম গাঁথা নিয়ে রচিত ইতিহাসভিত্তিক এ উপন্যাসটির এটি প্রথম খণ্ড। লেখকের নিজের করা প্রচ্ছদে এই বইটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা ‘অন্যপ্রকাশ’।
গত বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলার সোহ্রাওয়ার্দী প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় মোড়ক উন্মাচন অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় বইটির লেখক এবং অন্যপ্রকাশের কর্ণধর মাজহারুল ইসলামসহ লেখকের শুভানুধ্যায়িরা উপস্থিত ছিলেন।
বইটির মোড়ক উন্মচন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন ‘তরুন প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল করে গড়ে তুলতে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির কোন বিকল্প নেই। কেননা, এর মধ্য দিয়েই উঠে আসে একটা জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য। এশরার লতিফের ‘নক্ষত্র-নূপুর’ বইটি তেমনই এক সৃষ্টি। বইটি পাঠ করলে- আমাদের দেশের জন্য ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন সেইসব মহান বিপ্লবী-বীর-নক্ষত্রদের আমরা আরো ভালোভাবে জানতে পারবো।
উপন্যাসটি সম্পর্কে লেখক ড. এশরার লতিফ বলেন, প্রথম খণ্ডে ঘটনা প্রবাহের প্রয়োজনে অনেক বেশি ঘটনা ও চরিত্র চলে এসেছে। দ্বিতীয় খণ্ডের চরিত্র সংখ্যা অনেক কমে আসবে। এই উপন্যাসে একই সঙ্গে ধারণ করা হয়েছে- ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ, বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া বাঙ্গালী বিপ্লবীদের প্রেম এবং বিপ্লবের কাহিনী এবং এসব ভূ-খন্ডের বিপ্লবীদের আন্তঃসম্পর্ক। চিত্রিত হয়েছে- রাশিয়ার বিপ্লব ও বিপ্লবীদের কাহিনীও। কখনো কখনো বিপ্লবীদের চাইতে তাদের স্ত্রী কিংবা প্রেমিকাদের ভূমিকা বিপ্লবী কর্মকান্ডে ছিল অনেক বেশী।
এই উপন্যাসে সেই সব নারীদের ভূমিকাও চিহ্নিত এবং চিত্রিত হয়েছে। যার বিভিন্ন চরিত্রে উঠে এসেছে- ভগিনী নিবেদিতা, ওকাকুরা, যতিন্দ্রনাথ, সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অরবিন্দ এবং তার ভাই বারীন, বাঘা যতিন আর তার শিষ্য নরেন ভট্টাচার্যের (এম এন রায়) মত বিখ্যাত মানুষ।
প্রসঙ্গত, ড. এশরার লতিফ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ ও উপকরণ সংক্রান্ত গবেষণা পত্রিকাগুলোতে তার গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি- বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কিছু একাডেমিক জার্নালের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং প্রথম বাংলাদেশী সার্টিফাইড প্যাসিভ হাউজ ডিজাইনার।