× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

হিমু নেই, মিসির আলীও না-রয়ে গেছেন একটাই নাম: হুমায়ূন আহমেদ

অনন্ত আযান।

১৯ জুলাই ২০২৫, ১৫:৩৮ পিএম । আপডেটঃ ১৯ জুলাই ২০২৫, ১৫:৩৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোণার কুতুবপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন কেবল একজন লেখক নন, ‘তিনি ছিলেন এক আবেগের নাম’। বাঙালির জীবন, মন, প্রেম, একাকিত্ব, হতাশা আর স্বপ্ন  সবকিছুর ভাষা খুঁজে পেয়েছিল তাঁর কলমে। আজ তাঁর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। কিন্তু পাঠকের মনে তাঁর উপস্থিতি এতটাই জীবন্ত যে, মনে হয় এই তো সেদিন 'হিমু' হেঁটে গেছে ধানমণ্ডির গলির মোড় দিয়ে।

হুমায়ূন আহমেদের কলমের মতোই ছিল তাঁর জীবন।  সাদামাটা অথচ গভীর, মজার অথচ মন ছুঁয়ে যাওয়া। আজ তাঁর মৃত্যুর ১৩ বছর পরেও অনেক দারুণ ঘটনা, ছোট ছোট চমক এখনো অনেকেই জানেন না। চলুন ফিরে দেখা যাক সেসব অজানা টুকরো মুহূর্ত -

বিজ্ঞানী থেকে সাহিত্যিক

তিনি শুরু করেছিলেন বিজ্ঞান দিয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ছিলেন, আমেরিকা থেকে করেছিলেন পলিমার কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি। অথচ কলমের টানে হয়ে উঠলেন বাংলা সাহিত্যের এক কিংবদন্তি।

ল্যাম্পপোস্টের নিচে লেখা ‘নন্দিত নরকে’

ছাত্রজীবনে বিদ্যুৎ না থাকায় রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের নিচে বসেই লিখে ফেলেছিলেন তাঁর প্রথম উপন্যাস। সেই বই-ই তাঁকে রাতারাতি পরিচিত করে তোলে।

এক কলম, এক উপন্যাস

তিনি এক বইয়ের জন্য একটাই Parker কলম ব্যবহার করতেন। কলম শেষ মানেই বই শেষ - একটা দারুণ রুটিন।

গল্পে ছিল না ‘পুরোপুরি খারাপ’ মানুষ

হুমায়ূনের লেখায় কখনো কোনো ‘শুধু খারাপ’ চরিত্র থাকত না। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন, প্রতিটা মানুষের ভেতরেই ভালোবাসা আর আলোর কিছুটা অংশ থাকে।

বৃষ্টি ছিল তাঁর মিউজ

ছাদে কাঁচের ঘরে বসে বৃষ্টি দেখতে দেখতে লিখতেন। বলেন, "বৃষ্টি না হলে আমার লেখা জমে না!"

সহজ খাবারে ছিল তৃপ্তি

পছন্দের খাবার? খিচুড়ি আর ভাজি। ছোট ছোট আনন্দেই তিনি ছিলেন একজন বড় মানুষ।

হিমুর পেছনে ছিল বাস্তব মানুষ

হিমু চরিত্রটি তিনি বানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক উদ্ভট ধরনের বন্ধুর অনুপ্রেরণায়, যিনি সত্যিই খালি পায়ে হাঁটতেন আর কল্পনাবিলাসী ছিলেন।

২০০টিরও বেশি বই

বাংলা সাহিত্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বইয়ের লেখক তিনি। এক একটা বই মানেই পাঠকের জন্য একটা আলাদা উৎসব।

তিনি ভূত বিশ্বাস করতেন

তাঁর "ভয়" সিরিজ বা অন্য ভূত বিষয়ক গল্পগুলো কেবল কল্পনা ছিল না - কিছু ছিল তার নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকেও।

মৃত্যুর পরও বই

`দেয়াল’ উপন্যাসটি তিনি শেষ করতে পারেননি, কিন্তু তাঁর পরিবার ও প্রকাশনী শেষের অংশ সংকলন করে সেটি প্রকাশ করে। পাঠকের হৃদয়ে আজও সেই অসম্পূর্ণ গল্প অসম্ভব সুন্দরভাবে বেঁচে আছে।

হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এমন এক আকাশ, যার আলো কখনো নিভে না। মৃত্যুর ১৩ বছর পরেও প্রতিটি মেলায়, প্রতিটি পাঠকের চোখে তিনি নতুন, তিনি চিরন্তন।

যেখানেই থাকুন, আপনি ছিলেন, আছেন, থাকবেন আমাদের হৃদয়ের পাতায়।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.