প্রচারসংখ্যা
কারচুপি ও অসত্য তথ্য
প্রদানের অভিযোগে দৈনিক ভোরের কাগজ-এর সরকারি মিডিয়া
তালিকাভুক্তি বাতিল করেছে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর
(ডিএফপি)। সম্প্রতি পত্রিকাটির
সম্পাদক ও প্রকাশকের কাছে
এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে
জানানো হয়, ২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারি ডিএফপির
তিন সদস্যের একটি পরিদর্শন টিম পত্রিকাটির অফিস ও প্রেস পরিদর্শন
করে। পরিদর্শনের সময় অফিসের গেটে শ্রম আইন অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে কার্যালয় বন্ধ রাখার একটি নোটিশ দেখা যায় এবং অফিস বন্ধ পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে
ডিএফপি একটি তদন্ত চালায়। প্রিন্টার্স লাইনে উল্লেখিত হামরাই প্রিন্টিং প্রেস পরিদর্শন করে দেখা যায়, সেখানে পত্রিকাটির মুদ্রণ বন্ধ রয়েছে। প্রায় তিন মাস পর, ১১ মার্চ থেকে
পুনরায় ওই প্রেসে ছাপা
শুরু হলেও ২১ মার্চ আবারও
পরিদর্শনের সময় অফিস ও প্রেস উভয়ই
বন্ধ পাওয়া যায়। তখন প্রেসে কোনো প্রিন্ট অর্ডার ছিল না, কিছু কপি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল মাত্র।
প্রেস
ম্যানেজারের বরাত দিয়ে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দৈনিক ২০০-৩০০ কপি ছাপা হয় এবং বিল
পরিশোধ করা হয় হাতে হাতে
বা বিকাশের মাধ্যমে। তবে এ সংক্রান্ত কোনো
বৈধ প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি পত্রিকাটির কর্তৃপক্ষ।
চিঠিতে
আরও বলা হয়, এ অনিয়ম 'সংবাদপত্র
ও সাময়িকীর মিডিয়া তালিকাভুক্তি ও নিরীক্ষা নীতিমালা,
২০২২'-এর ৫.২৩(খ) এবং ‘ছাপাখানা
ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধন) আইন,
১৯৭৩’-এর ১০ ধারার
সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সেই সঙ্গে ৮.৩ অনুচ্ছেদ
অনুযায়ী মিডিয়া তালিকাভুক্তি বাতিলের যথাযথ ভিত্তি বিদ্যমান থাকায় ভোরের কাগজ-এর সরকারি তালিকাভুক্তি
বাতিল করা হয়েছে।
এ
সিদ্ধান্তের ফলে ভোরের কাগজ আর কোনো সরকারি
বিজ্ঞাপন, নিউজ প্রিন্ট কোটা কিংবা সরকারি ও আধা-সরকারি
প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সুবিধা পাবে না। এটি প্রযোজ্য হবে মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, পরিদপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, সরকার-নিয়ন্ত্রিত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনসহ
সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই।