সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ রাসায়নিক রাখার কথা বলেনি বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
ওই ডিপোতে আগুন লেগে বিস্ফোরণে ৪১ জনের মৃত্যুর পর বিস্ফোরক অধিদপ্তর থেকে রাসায়নিক রাখার অনুমতি না থাকার বিষয়টি সামনে আসে।
এরপর পরিবেশ অধিদপ্তর জানাল, তাদের ছাড়পত্রও নেয়নি বেসরকারি এই কন্টেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ।
আগুন লাগার ঘটনার তৃতীয় দিন সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে অবস্থিত ডিপোটি পরিদর্শন করেন এবং সেখান থেকে রাসায়নিকসহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন।
এর আগে এই কন্টেইনার ডিপোতে রাসায়নিক দ্রব্যের চারটি কন্টেইনার শনাক্ত করার কথা জানিয়েছিল সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা পরিচালক মুফিদুল আলম বলেন, “প্রতিষ্ঠানটি আমাদের কাছ থেকে শুধু কন্টেইনার রাখার বিষয়ে ছাড়পত্র নিয়েছিল। তারা বলেছিল সেখানে কন্টেইনার ভর্তি ও খালি করবে। ফুড, পোল্ট্রি ফিড ও গার্মেন্টস আইটেম মিলিয়ে বেশ কিছু পণ্যের অনুমতি ছিল। কোন কেমিক্যাল (রাসায়নিক) রাখার পারমিশন নেয়নি।”
অগ্নিকাণ্ডের পর যদিও ডিপো কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, তাদের সব ধরনের অনুমোদনই রয়েছে।
মুফিদুল বলেন, “দুর্ঘটনাকবলিত ডিপো থেকে আজ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছি। বিষাক্ততা (টক্সিসিটি) যাচাইয়ের জন্য এসব নমুনা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে বলা যাবে, সেখানে কী ছিল এবং কেন এত বিস্ফোরণ হয়েছে।”