দেশের সব উন্নয়নের মধ্যে স্বাধীনতার পরে সবচেয়ে বড় ও লক্ষণীয় হলো পদ্মাসেতু। সব দিক বিবেচনায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
আজ শুক্রবার (১৭ জুন) বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে এক মীর্জা তোফাজ্জাল হোসনে মুকুলের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, পদ্মাসেতু জাতির ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে কৃষি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইসিটিসহ প্রতিটি খাতে অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে। যা সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত ও নন্দিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, পদ্মাসেতু জাতির স্বপ্নের সেতু, গর্বের সেতু, অহংকারের সেতু। ২৫ তারিখে এটির উদ্বোধন হবে, সেদিন সারা জাতি আনন্দে মেতে উঠবে। এ মহোৎসব কেউ যদি ষড়যন্ত্র করে বানচাল করতে চায়, তাদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। কোনো অপশক্তিই পদ্মাসেতুর উদ্বোধনের আনন্দকে ব্যাহত করতে পারবে না।
পদ্মাসেতু দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, যশোরের ফুল, সাতক্ষীরার আমসহ দক্ষিণাঞ্চলে উৎপাদিত শাকসবজি, ফলমূল সহজেই ঢাকা আসতে পারবে। ঐসব অঞ্চলে কৃষি প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে বাজার তৈরির পাশাপাশি বিদেশে রফতানিও হবে।
স্মরণসভায় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক সভাপতিত্ব করেন। এতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।