× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

তারেক জিয়া ক্ষমতার লোভে নেতাকর্মীদের ব্যবহার করছে: শেখ ফজলে শামস পরশ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

১০ অক্টোবর ২০২২, ০৮:১৬ এএম

বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির বন্ধুরা আন্দোলন-সংগ্রাম করে। আমি তো মনে করি তারেক জিয়া আন্দোলনের নামে বিএনপির সাধারণ কর্মীদেরকে বিভ্রান্ত করছে এবং ব্যবহার করছেন ক্ষমতার লোভে। তিনি কীভাবে নিজে নিরাপদে বিদেশে এসি রুমে বসে থেকে নেতাকর্মীদের রাস্তায় নামাচ্ছে এবং বিপদগামী করছে। সে যদি প্রকৃত নেতা হয়, তাহলে তার দেশে এসে মিছিল সমাবেশে সম্মুখ যুদ্ধা হিসেবে অবতির্ণ হওয়া উচিত। তিনি যখন ১৪ বছর আগে বিদেশে মুচলেখা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল,তখন এই সকল কর্মীদের বয়স কত ছিলো? তারা তো তারেক জিয়াকে চিনে না। তার শাসন আমলও দেখে নাই। তারা দেখে নাই ১২ঘন্টার লোডশেডিং,তারা দেখে নাই সিরিজ বোমা হামলা। 

সোমবার (১০ অক্টাবর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মুন্সিগঞ্জ ও ভোলায় নিজেদের আঘাতে যুবদলের দুইজন মারা গেছে দাবী করে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, তাদের বয়স কত,তাদের বয়স বড়জোর ১০ অথবা ১৫ বছর ছিল তারেক জিয়া চলে যাওয়ার সময়। তাদের সরলতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি তার রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চাচ্ছেন। তাদের মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে,তাদের বিপদের মুখে ফেলে দিচ্ছে, তাদের পরিবারের দায়-দ্বায়িত্ব কে নেবে। তারেক জিয়া নিবে? যারা এতিমের টাকা মেরে খায় তারা নিবে?  

১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পরে ফ্রিডম পার্টি জিয়াউর রহমানের মদদে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিলো, শেখের বেটি ভয় পায় নাই। বিদেশেও পালিয়ে যায় নাই। 

সম্মেলনে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা এসেছি রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে। একজন যোগ্য নেতা ও তার নেতৃত্বের হাত ধরে একটি নতুন সমাজ বিনির্মাণ হতে পারে। তাই সব যোগ্য ও সাহসী এবং সহানুভুতিশীল নেতৃত্বের জন্য নেতৃত্ব চর্চার বিকল্প নাই। আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন উত্তরসুর আহরণ। তার যোগ্য ও বলিষ্ট নেতৃতে আমরা যুদ্ধাপরাধীদের এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার পেয়েছি। নিম্ন আয়ের দেশ থেকে আজকে উন্নয়নশীল দেশ আমরা পেয়েছি। একটি জঙ্গি রাষ্ট্র থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে পেরেছি। ৩৫ লক্ষ গৃহহীন মানুষকে আবাসনের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। 

যুবলীগের নেতাকর্মীদের রাজপথে বিরোধীদলের আন্দোলন মোকাবেলার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, তাদের নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে। রাজপথে এই চক্রকে মোকাবেলা করতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। ২৩ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে সেবামূলক কাজ করতে হবে, নিজেদের মধ্যে গ্রুপিং ও বিভক্তি বন্ধ করতে হবে।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় দীর্ঘ পাঁচবছর পর উৎসবমুখর পরিবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে শুরু হয় মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের মুর্হুমুহু শ্লোগানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় এই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা। শুরুতে বেলুন ও যুবলীগের দলীয় পতাকা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এর পরই সম্মেলন মঞ্চে একে একে কেন্দ্রীয় নেতারা আসন গ্রহণ করেন। এসময় তাদের জেলা যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ফুল দিয়ে বরণ করেন। সম্মেলনের প্রথম পর্বে সিলেট বিভাগের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরে ২০ মিনিটের একটি মনমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন কেন্দ্রীয় নেতারাসহ দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী।  

জেলা যুবলীগের বিদায়ী সভাপতি নাহিদ আহমদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন এবং যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্তের যৌথ সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এমপি, সাবেক চীফ হুইপ ও মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমেদ এমপি, মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন এমপি, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন,কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন,কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত ,সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল কবির ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-মহিলা সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা শারমীন। 

এছাড়াও সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্টানে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও জেলা যুবলীগের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলা যুবলীগের নতুন নেতৃত্বে কারা আসছেন তা জানা যায়নি। নতুন কমিটিতে পদ প্রত্যাশিরা নিজেদের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন। 


Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.