চিকিৎসা শিক্ষার আধুনিকায়ন ও উন্নতর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণ লক্ষ্যে টি- আইসিইউ, জাপান এবং মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের সাথে একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক সমঝোতা চুক্তি ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চুক্তি বাস্তবায়নে উল্লেখিত হাসপাতালদ্বয়ের আইসিইউ পরিসেবায় নতুন মাত্রা যুক্ত হলো। আন্তর্জাতিক
এই সমঝোতার আওতায় জাপান হতে স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ পরামর্শদাতা হিসেবে অনলাইনে নিয়মিত অংশগ্রহণ করবেন। তারা আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে আইসিইউ সংশ্লিষ্ট সকল ডাক্তার ও নার্সদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদানে অংশ নিবেন এবং আইসিইউ পরিসেবার মান উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. মনিরুজ্জামান। সভায় জাপানের পক্ষ থেকে টি-আইসিইউ এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইয়োশিহিকো কনোইকে ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা কোজি ওভাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ অংশ নেন।
মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুগঠিত আইসিইউ বিভাগের নানা দিক তুলে ধরেন বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. রঞ্জন কুমার নাথ, অস্ত্র হাসপাতালের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য জানান উপদেষ্টা ও হাসপাতাল পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শরীফ, অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সুযত পাল, উপদেষ্টা ও পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মুজিবুল হক খান, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি ও হাসপাতালের পরিচালক মাহবুবুল আলম, পরিচালক ও শিল্পপতি মো. আব্দুস সালাম, অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার দত্ত, অধ্যাপক ডা. আকবর হোসেন ভূঁইয়া, অধ্যাপক ডা. শাহানারা চৌধুরী, ওজিএসবি সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুনো কন্য, অধ্যাপক ডা. এস এম অধ্যাপক ডা. বাসনা মুহুরী, পরিচালক ডা. এ. এস. এস. মাহমুদ, গুণ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রণয় দত্ত।
সমঝোতায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ডীন অধ্যাপক ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
সভায় চিকিৎসা অনুষদের সকল বিভাগের সম্মানিত প্রধান ও সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সমঝোতা স্মারক চুক্তি সম্পাদিত করেন মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পক্ষ থেকে উপদেষ্টা ও পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শরীফ ও অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সুযত পাল এবং মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালের পক্ষ থেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. মনিরুজ্জামান ও টি-আইসিইউ কো. লিঃ. জাপান এর পক্ষ থেকে চুক্তি স্বাক্ষর করেন প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা কোজি ওড়া।
এই উদ্যোগের ফলে চট্টগ্রামে প্রথম বারের মতো সাধারণ জনগণের সাধ্যের মধ্যে আন্তর্জাতিকমানের সুচিকিৎসার দুয়ার উন্মোচিত হলো।