× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

বিএনপি নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধের অপতৎপরতা করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ মার্চ ২০২৩, ০৪:২৪ এএম । আপডেটঃ ০৫ মার্চ ২০২৩, ০৪:৩১ এএম

বিএনপি নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপতৎপরতা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি তাদের পুরনো অপকৌশল অবলম্বন করে নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপতৎপরতা শুরু করেছে। সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী যথাসময়ে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

রোববার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। খবর বাসসের

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিত ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের সংবিধান মেনেই আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নেতৃবৃন্দের বোধগম্য হওয়া উচিত নির্বাচন প্রতিহত এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করে কোনো লাভ নেই। জনগণের রায়ে সাংবিধানিক উপায়েই ক্ষমতা পরিবর্তন হবে।’

ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়। তাই তারা  নির্বাচনে নিজেদের ক্রমাগত ব্যর্থতার কারণে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘এদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করেছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। সামরিক ফরমান জারি করে জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিল। রাষ্ট্রপতি হতে জিয়াউর রহমানের কোনো প্রস্তাবক ও সমর্থকের প্রয়োজন ছিল না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একই সাথে অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান ও প্রধান সামরিক আইন কর্মকর্তা পদে থেকে হ্যাঁ/না ভোটের আয়োজন করে। যা সম্পূর্ণভাবে অসাংবিধানিক এবং বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী বিধিমালা পরিপন্থী। জিয়াউর রহমান জাতিকে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিল এবং সামরিক আইন বহাল রেখে ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ/না ভোট, ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করেছিল।’

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বেগম খালেদা জিয়া। যার ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার অভিপ্রায়ে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিকে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসিয়ে মহান জাতীয় সংসদকে কলঙ্কিত করেছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এদেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রধান প্রতিবন্ধক ও বাংলাদেশের রাজনীতির সকল অশুভ শক্তির প্রতিভূ। জনগণ কর্তৃক বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি আজ তাদের ব্যর্থতার দায়ভার জাতির উপর চাপাচ্ছে। এমনকী নিজেদের দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বকে জায়েজ করতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করেছে।

তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র বিশ্ব এক সংকটকাল অতিক্রম করছে। এই সংকটের মধ্যেও শেখ হাসিনা দেশের জনগণের সুরক্ষা দিয়ে চলেছেন। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) সভাপতি সাবা করোসি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং এটি অলৌকিক ঘটনার মতো বলে উল্লেখ করেছেন। লন্ডনভিত্তিক দ্যা ইকোনোমিস্ট-এর এক নিবন্ধে সংকটে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মিরাকেল তুলে ধরা হয়েছে। ওই নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে- ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের মডেল বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।’

তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর এই অগ্রগতি ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করাই বিএনপির রাজনীতির একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তারা দেশের ভিতরে ও বাইরে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.