রাজধানীর বাড্ডা ভূমি অফিসের তহশিলদার ও বাংলাদেশ ভূমি কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণ, দুর্নীতি, অনিয়ম ও অসদাচরণসহ যেসব অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, আমার পেশাগত ইমেজকে সংকটে ফেলতে এবং আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে এমন মারাত্মক, মানহানিকর ও অসত্য অভিযোগ তুলে ধরে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। 

এমন অভিযোগের সাথে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে মঙ্গলবার তিনি জানান, প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এমন মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে।

বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদে বলা হয়েছে যে ‘বাড্ডা ভূমি অফিসে যোগদান করার পর থেকেই আসাদুজ্জামান সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। এখানে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে, অনেক ক্ষেত্রে ঘুস দেওয়ার পরও কাজ হয় না। সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করতে তাদের নথিপত্র পর্যন্ত গায়েব করে দেওয়া হচ্ছে। জাল দলিলে জমির নামজারি হয়ে যাচ্ছে অন্যের নামে। নামজারি, খারিজ, খাজনা প্রদানসহ অন্যান্য কাজে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ঘুস-দুর্নীতির মহোৎসব প্রকাশ্যেই চলছে বাড্ডা ভূমি অফিসে।’ এছাড়াও ওই মিথ্যা সংবাদে আরো মারাত্মক ধরনের মিথ্যাচার করা হয়েছে।

উল্লেখিত অভিযোগের ব্যাপারে সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান। মূলত ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই মিথ্যা অভিযোগ ও সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখিত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে আসাদুজ্জামান বলেন, একটি কুচক্রি মহল আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে চলেছে, যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি।

একাধিক সেবা প্রার্থী জানান, দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, মাদক, জুয়াসহ যেকোন অপরাধের প্রতি ঘৃণা রেখেই ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানেন পথচলা। একজন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা। তিনি নিয়ম মেনে নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব থেকে সততার সহিত কাজ পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, সম্প্রতি সমাজের কিছু কতিপয় ব্যক্তি সম্পূর্ণ মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি স্থাপন করে তার বিরুদ্ধে মারাত্মক রকমের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। 

জানা গেছে, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে কতিপয় ব্যক্তির বেঁধে দেওয়া মিথ্যা স্থাপনকৃত ওই অভিযোগ নামে-বেনামে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করা হচ্ছে। একই সাথে গণমাধ্যমে মারাত্মক রকমের মানহানিকর ও মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। তথ্য যাচাই-বাছাই কিংবা অনুসন্ধান না করেই সেই মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতেই সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। যে সকল অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে এর স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে পারছেন না অভিযোগকারী বা অভিযোগকারীরা। কেননা অভিযোগের জায়গাগুলোই কাল্পনিক। তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। শুধুমাত্র সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই কাজটি করছেন তারা। মিথ্যা অভিযোগ এনে তার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা চাওয়া হচ্ছে। এতে সাড়া না দেওয়ায় এখন অনেকটা ব্লাক-মেইলের শিকার হচ্ছেন তিনি। মূলত এটিই হলো পিছনের গল্প।

অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলেও মন্তব্য করছেন অনেকে। প্রতিটি ভূমি অফিসে এখন অনলাইনে খাজনা আদায় করা হয়, নামজারীর আবেদন অনলাইনে করতে হয় এখানে দুর্নীতির সুযোগ নেই ৷