নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, সম্পূর্ণরূপে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মতো পরিবেশ রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে ইসি বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, সব প্রস্তুতি গুছিয়ে আনা হয়েছে। নভেম্বরের প্রথমার্ধে (দ্বিতীয় সপ্তাহ) দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন ইসি সচিব।
ইসি সচিব বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অত্যাসন্ন। সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। রেওয়াজ অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার আগে কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) এ সাক্ষাতের সূচি রয়েছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন প্রস্তুতি সংক্রান্ত সব ধরনের অগ্রগতি বিষয়ে অবহিত করা হবে। প্রস্তুতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির পরামর্শ ও নির্দেশনা থাকলে তা কমিশন শুনবে। তফসিল ঘোষণার এখতিয়ার সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের। তবে এ নিয়ে এখনো কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, কমিশন বারবার বলেছে, নভেম্বর মাসের দ্বিতীয়ার্ধের যেকোনো দিন তফসিল হতে পারে। সে হিসাবে ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে সচিব জানান, এ পর্যন্ত কমিশনকে মেইলে তিনটি (এনডিআই, ইইউ ও কমনওয়েলথ) প্রতিষ্ঠান কনফার্ম করেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান, যেটা প্রি-অ্যাসেসমেন্ট করে গেছে। ইইউ আগেই বলেছে, অতি সম্প্রতি কমনওয়েলথের একটি টিম ইসির সাক্ষাতের সময় চেয়েছে।
তিনি বলেন, ২১ নভেম্বরের মধ্যে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আবেদন করতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সেলের মাধ্যমে সমন্বয়ের পর পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যাবে।
আগামী সপ্তাহে ১২-১৪ নভেম্বরের মধ্যে তফসিল হতে পারে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, এ বিষয়ে কমিশন যখন সিদ্ধান্ত নেবে তখন গণমাধ্যমে জানানো হবে। নির্বাচন কমিশনের যেসব প্রস্তুতিমূলক কাজ রয়েছে, সব এগিয়ে রয়েছে। নির্বাচনী মালামালও ধাপে ধাপে জেলা পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যথাসময়ে পরিপত্র জারি করে। ইতোমধ্যে তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পর্যাপ্ত আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য মাঠে থাকবেন। ভোটাররা নির্বিঘ্নে যাতে ভোট দিতে পারেন, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করবে এবং সেভাবে মন্ত্রণালয় কাজ করবে।
লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপ-নির্বাচন নিয়ে ইসি সচিব বলেন, অনিয়মের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।