× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

দলের কেউ সংঘাত করলেই ব্যবস্থা : হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:১৭ পিএম

পাঁচ জেলার জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন নিয়ে যেন কোনো সংঘাত না হয় সেদিকে নজর রাখতে সারাদেশের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। ভোটে নৌকা, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলও আছে। কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। কোনো সংঘর্ষ-মারামারি দেখতে চাই না। দলের কেউ সংঘাত করলে রেহাই নেই, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। গণতন্ত্রকে আরও সুদৃঢ় করতে না পারলে বাংলাদেশ শেষ হয়ে যাবে।’

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে পাঁচ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি নেতাকর্মীদের এই হুঁশিয়ারি দেন।

শেখ হাসিনা পর্যায়ক্রমে রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট জেলা, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেন।

এসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা/থানা/পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতারা এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকাসমূহের মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় শেখ হাসিনা বলেন, ভোট চুরির সুযোগ নেই বলেই বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ এখন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। দেশের এমন কোনো জেলা নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। যেটা আওয়ামী লীগ সরকার করেছে।

তিনি বলেন, ভোটের অধিকার আওয়ামী লীগ জনগণকে ফিরিয়ে দিয়েছে। আর সেটা অব্যাহত থাকবে। এবারের নির্বাচনে আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ করে কেউ যেন মানুষের ক্ষতি করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ভোট নিয়ে যাতে কোনো সংঘাত না হয়, জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। দলের নেতাকর্মী যেই হোক এর কোনো ব্যত্যয় হলে ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। এখানে কিন্তু কোনা রকম মারামারি-সংঘাত আমি দেখতে চাই না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, একটা প্রত্যয় নিয়েই আমি দেশে ফিরে এসেছিলাম, স্বাধীনতার সুফল বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছানো। মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণ করে তাদের জীবন উন্নত করা। যেটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করা হয়েছিল, জনগণের অধিকার তাদের হাতে ফিরিয়ে দিতেই এই প্রত্যয় নিয়ে সংগ্রাম শুরু করেছিলাম। অনেক ঘাত প্রতিঘাত, চড়াই- উতরাই পার হতে হয়েছে আমাদের। তারপরও থেমে থাকিনি। মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করে গেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় এদেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। তারপর আমরা ২১ বছর পর সরকারে আসি। আর জনগণের সেবক হিসেবে যাত্রা শুরু করি। এরপর থেকেই দেশের উন্নয়নে কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু ২০০১ সালে আবার সরকারে আসতে পারলাম না। কারণ হলো আমাদের গ্যাস বিক্রির একটা প্রস্তাব ছিল, বড় একটি দেশ থেকে। তখন আমি বলেছিলাম, এটি দেশের জনগণের সম্পদ, এটি আমি বিক্রি করতে পারবো না। তবে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রাজি হয়ে যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল শুধু তাই নয়; ধর্ম-বর্ণ, নির্বিশেষে যারাই নৌকায় ভোট দিয়েছিল, তাদের ওপর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিরা যেভাবে আমার দেশের মা-বোনদের ওপর নির্যাতন করেছিল, ঠিক সেভাবে অত্যাচার নির্যাতন করা হয়। আমি নিজেও তাদের হাতে আক্রমণের শিকার হয়েছি বার বার। তারপরও থেমে থাকিনি। এজন্য আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ জানাই। তারা কষ্ট সহ্য করেছে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে এখন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। এ ১৫ বছরে দেশের এমন কোনো জেলা নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

তিনি বলেন, আমরাই কিন্তু সংগ্রামের মাধ্যেমে এটা বিষয় প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম; ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেবো’। আমরাই ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছি। আমরা ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি। আজ মানুষ ভোট দিতে পারে, সেই সুযোগ সৃষ্টি করেছি। দেশের জনগণের আত্ম-সামাজিক মর্যাদা সৃষ্টি করেছি। তাই ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দেবে জনগণ। নির্বাচন উন্মুক্ত করেছে সরকার। নৌকাসহ আছে অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীও। কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। যাকে খুশি তাকে জনগণ ভোট দেবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অবৈধভোবে উত্থান হওয়া বিএনপি শুরু থেকেই সংবিধান বিরোধী। ভোট চুরির সুযোগ নেই বলেই বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। ভোট চুরির অপরাধে ১৯৯৬ সালে দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন, সেটা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। ভোট চুরির অপরাধে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। ভোট চুরির অপরাধে তাকে বিদায় নিতে হয়েছিল। ঠিক একইভাবে ভোট চুরির চেষ্টা করেছিল ২০০৬ সালেও। ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করে, যারা ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথাও শুনতে হয়, ভোটের কথাও শুনতে হয়।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.