বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার একটু পরে গোয়েন্দা পুলিশের ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের একটু পরেই তাঁরা ডিবি কার্যালয় থেকে কালো রঙের একটি গাড়িতে বের করে নিয়ে আসা হয়।
ছয় সমন্বয়ককে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি জানান ডিবির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি) আজহার মুকুল । আজ সকালে ছয় সমন্বয়কের পরিবারের লোকজন ডিবি কার্যালয়ের ভেতরে গিয়েছিলেন।
গত শুক্রবার বিকেলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে প্রথমে তিনজনকে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে আটক করা হয়। তাঁরা হলেন নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের। তাঁদের মধ্যে নাহিদ ও আসিফকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করা হয়।। বাকের তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে আটক করে ডিবি। এরপর রোববার ভোরে মিরপুরের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তুলে আনা হয় নুসরাত তাবাসসুমকে। এরপর থেকে তাঁরা মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আছেন। ডিবির ভাষ্যমতে এই ছয় সমন্বয়কারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই ডিবির হেফাজতে রাখা হয়।
গত ১৯ জুলাই মধ্যরাতে খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় এক বন্ধুর বাসা থেকে নাহিদকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। এক দিন পর পূর্বাচল এলাকায় তাঁকে ফেলে যাওয়া হয়। নাহিদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিল আঘাতের চিহ্ন। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অপর দুই সমন্বয়ক আসিফ ও বাকেরকেও একই দিন তুলে নেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিন পর তাঁদের দুজনকে চোখ বাঁধা অবস্থায় যেখান থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল, সেখানে ফেলে যাওয়া হয়। এরপর থেকে আসিফও গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাকেরও।