তলিয়ে গেছে কক্সবাজারের নিমাঞ্চল, দুর্ভোগে লাখো মানুষ
গত কয়েকদিনের অব্যাহত শ্রাবণের মাঝ সময়ের ভারী বর্ষণ, এবং গেল কিছুদিন ব্যাপী অব্যাহত পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের অন্যতম নদী মাতামুহুরি, ঈদগাঁঅর ফুলেশ্বরী, বাঁকখালী ও রেজুখালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বাঁধ ডিঙিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে নদীর পানি।
অপর্যাপ্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন উপজেলার দুইশ'র ও বেশি গ্রাম। এতে বাসাবাড়ি, সড়ক, নলকূপ ইত্যাদি তলিয়ে গেছে। রামুতে ঢলের পানির প্রবল স্রোতে ভাঙ্গন ধরেছে নাইক্ষ্যংছড়ি-গর্জনিয়া সড়কের বেইলি ব্রিজ এলাকায়। নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ক্যাম্পের পাশের এ সড়কটি রক্ষার চেষ্টায় মাতি ভর্তি বস্তা ফেলা হচ্ছে।
এদিকে কক্সবাজার-টেকনাফ-উখিয়া হাইওয়ের অনেক এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় পাহাড় ধ্বসের আশংকায় আতঙ্কে আছে এসব এলাকার বাসিন্দারা। প্লাবিত এলাকায় বেশিরভাগ বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করার কারণে খাদ্যসংকটে ও নানাবিধ দুর্ভোগে পড়েছে অনেক মানুষ। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দুর্গত এলাকায় এলাকাবাসিরা কোন ত্রাণ বা কোনোরূপ সাহায্য পায়নি বলে জানিয়েছে।
এই দুর্যোগে দুর্গতদের সহায়তায় প্রশাসনের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না থাকায় উখিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরী দুঃখ প্রকাশ করেন।
এদিকে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, এলাকার নালার পথ দখল হওয়ায় জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের সমস্যায় রূপ নিয়েছে। তিনি আরো বলেন এই সমস্যা নিরসনে ইতোমধ্যে অবৈধ দখল ও নির্মিত স্থাপনা গুড়িয়ে পানি চলাচল সচলের কাজ শুরু করেছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কক্সবাজারের সহকারি আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান বলেন গত কয়েকদিনে কক্সবাজারে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে আরো কয়েকদিন ভারী থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধ্বসের আশংকা রয়েছে।
উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং, জালিয়াপালং, পালংখালী ইউনিয়নে পানিবন্দি ঘরবাড়ি ও মানুষের সংখ্যা বেশি। এ তিন ইউনিয়নের জন্য উখিয়া উপজেলায় ছয় টন চাল ও নগদ দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত কুতুবদিয়া উপজেলায় তিন টন চাল ও ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।