সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এবং ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করার কথা লেখার পরে, গুজব ছড়ানো ও নাশকতার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ সোহাগ কারাগারে আছেন। বিয়ের দিন ভোরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও মুক্তি মেলেনি সাঈদের।
পদত্যাগ করার আগে ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ সোহাগ লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। সাঈদ একই ইউনিয়নের ঢুষপাড়া আগরপুর গ্রামের মৃত মহির উদ্দিন মেম্বারের ছেলে ও বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজে পড়তেন।
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে নিজ ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, "আসসালামু আলাইকুম। আমি মো. আবু সাঈদ সোহাগ আড়বাব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম।" ১৯ জুলাই ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২২ জুলাই পারিবারিকভাবে একই ইউনিয়নের ঢুষপাড়া আগরপুর গ্রামের হুদার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বিয়ের দিন ভোরে তাকে আটক করে লালপুর থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা সোহাগের বড় ভাই মতির কাছে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৌরভ ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ছাত্রলীগের পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। তবে ছাত্রলীগের প্যাডে লিখে পোস্ট দিয়ে পদত্যাগ করতে পারে।
লালপুর থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, অনলাইনে গুজব ছড়ানো ও নাশকতার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।