আজ সকালে (৬ আগস্ট) ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে লেকের পাড়ে উঁচু পেভমেন্টে চারটি লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পূর্ব দিকের ৩ নম্বর বাড়িতে লাশগুলোর সন্ধান মেলে।
যে বাড়িতে লাশগুলো পাওয়া গেছে তার একটি ভবনে সংগীতশিল্পী রাহুল আনন্দ থাকেন। এক পথশিশু জানায়, সোমবার বিকালে বঙ্গবন্ধু ভবনে ভাঙচুরের সময় সে এখান থেকে ছোট ছোট রড কুড়াতে ঢুকে। তখন হাতে ব্যান্ডেজওয়ালা (চার লাশের একটি) তরুণকে ভেতরে জিনিসপত্র কুড়াতে দেখেছিল। সকালবেলা দেখে, এখানে তার লাশ পড়ে আছে।
গতকাল (৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর বাসভবন তথা স্মৃতি জাদুঘরসহ আশপাশের ৫টি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এর চারটি বাড়িই বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর আওয়ামী লীগের কাজে ব্যবহার হয়ে আসছিল। এ ছাড়া ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিও।
এদিকে, ৩২ নম্বরে উৎসুক জনতার ভিড় রয়েছে। অনেকেই নানা কিছু নিয়ে যাচ্ছেন। নেওয়ার মতো তেমন কিছু অবশিষ্ট না থাকায় অধিকাংশের হাতে বই দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের প্রতিটি কক্ষে চালানো হয়েছে ভাঙচুর, দেওয়া হয়েছে আগুন। অন্যান্য বাড়িগুলোতেও আগুন দেওয়া ছাড়াও ভাঙচুর করা হয়েছে।
লাশ উদ্ধারকারীরা জানান, প্রথমে তারা তিনটি লাশ দেখতে পান। পরে আরও একটি লাশের দেখা মেলে। দুটি লাশ এতটাই পুড়েছে যে চেনা যাচ্ছে না। তাদের ধারণা, আগুন দিতে কিংবা লুট করতে নিহতরা এখানে ঢুকেছিলেন। এটি রান্নাঘর হওয়ায় হয়তো গ্যাস বিস্ফোরণে তারা মারা গেছেন।
এদিকে, সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।