আজ (৬ আগস্ট) শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থমথমে পরিবেশে শুরু হয় সচিবালয়ের কার্যক্রম। মন্ত্রণালয়ের দপ্তরগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিও ছিল কম। সকালে যারা এসেছেন, তাদের মধ্যে বিরাজ করছিল আতঙ্ক-ভয়।
পরে সচিবালয়ে হামলা হবে এমন খবরে হঠাৎ বেলা ১২টার দিকে প্রশাসনের এ প্রাণকেন্দ্র থেকে কর্মস্থল ছাড়তে শুরু করেন তারা।
এ সময় এক কর্মকর্তা বলেন, সচিবালয় থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে। এরপরই সবাই হুড়াহুড়ি করে বের হতে শুরু করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক কর্মকর্তা জানান, সচিবালয়ে হামলা হবে— এমন খবরে সবাই বের হয়ে যাচ্ছেন। এটা গুজব নাকি সত্য, তা এখন পর্যন্ত জানি না।
তবে আগে থেকেই সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে আজ সচিবালয়ে উপস্থিতি অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেক কম দেখা গেছে। আওয়ামী লীগপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আসেননি বলে জানা গেছে। এ ছাড়া মন্ত্রীদের নেইম-প্লেট সরানো হয়েছে। অধিকাংশ সচিবকেই তাদের দপ্তরে দেখা যায়নি।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।