বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন থেকে নিতান্তই যাদের দরকার নেই তাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে ভারত। তাদের সঙ্গে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যাচ্ছেন। ভারতও বাংলাদেশে তার কূটনৈতিক উপস্থিতি কমিয়ে দিচ্ছে। তবে সূত্র জানিয়েছে, হাইকমিশনের কার্যকরী ও সব ভারতীয় কূটনীতিক এখনো ঢাকায় রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, "ভারতের প্রত্যাশা ছিল যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে ভারতীয় মিশনগুলোকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দেবে। সেই সঙ্গে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে গেলে নয়াদিল্লি তার মিশনগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করবে।"
ঢাকায় হাইকমিশন বা দূতাবাস ছাড়াও ভারতের চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেটে সহকারী হাইকমিশন রয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন আন্দোলনের মুখে সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর ছোট বোন শেখ রেহেনাকে নিয়ে সামরিক হেলিকপ্টারে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান তিনি।
আপাতত শেখ হাসিনা কয়েক দিনের জন্য ভারতেই থাকবেন। বর্তমানে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার নিরাপত্তায় রয়েছেন শেখ হাসিনা। এখন তার নিরাপত্তার বিষয়টি তারাই দেখছেন। ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা তৈরিতে তাকে আরও কিছুদিন সময় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের অনীহা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা দেশটির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার আবেদন করতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।