ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড আমানউল্লাপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন নারী কর্মীদের মারধর করার প্রতিবাদ করতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয় আবিদুল ইসলাম নামে ১৮ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী।
ঘটনার চারদিন পর গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে আবিদ। সে দাগনভূঞা একাডেমীর নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দাগনভূঞায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সুমাইয়া নামে একজন নারী কর্মী পরিবারসহ উপজেলার আমানুল্লাপুর গ্রামের নিজাম টাওয়ার নামে একটি বহুতল ভবনে ভাড়া থাকতো। গত সোমবার ওই ভাড়া বাড়ীর ছাদে পতাকা উত্তোলন করে। ভবন মালিক নিজাম উদ্দিন, তার ভাই জসিম উদ্দিন ও বাড়ীর দারোয়ানসহ কয়েকজন ওই নারী কর্মীকে মারধর করে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অপর এক কর্মী আবিদুল ইসলামের বাবা ও স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়। বাবাকে মারধরের প্রতিবাদ করতে গেলে আবিদকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার রাতেই তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল শনিবার সকালে আবিদ মারা যায়। তার লাশ বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাটি জানতে পারে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ থানা হেফাজতে নিয়ে রাখা হয়েছে। রবিবার বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন লাশ ময়না তদন্তের জন্য রোববার সকালে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।