ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (ক্রাইম,অপস ও ট্রাফিক- উত্তর) দায়িত্বে থাকা সিরাজগঞ্জের ছেলে আব্দুল্লাহিল কাফীর প্রত্যক্ষ নির্দেশ ও নেতৃত্বেই সাভারে অর্ধ শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ছাত্রদের আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর অস্থির সময়ের মধ্যেই নিজের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করেছেন। নামিয়ে দিয়েছে হাসিনার সঙ্গে তার দেয়া ছবি।
সাভার, ধামরাই ও আশুলিয়া এই তিন থানা মিলে ছিল এই পুলিশ কর্মকর্তার সিন্ডিকেট। অপদার্থ এবং আওয়ামী লীগের সেবা দাস হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তার অযোগ্যতার কারণেই মানুষের মনের দাউ দাউ করে জ্বলেছে ক্ষোভের আগুন। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন মৃত মানুষদের সেই আত্মা তাকে তাড়া করে ফিরবে। নিজের বিবেকের কাছে উত্তর দিতে হবে কাদের মসনদ রক্ষার জন্য এতগুলো মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছিলেন। বলে রাখা ভালো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্রলীগ করে আসা এই কাফী চলতো পতিত শেখ হাসিনা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নাম ভাঙিয়ে।
পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি ও বাগিয়ে নিয়েছিলেন। আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে শাফি মোদ্দাসের খান জ্যোতির সাথে বন্ধুত্ব করে গোটা পুলিশ প্রশাসনকে নেপথ্যে থেকে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। এখন এমন অভিযোগই করছেন খোদ পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকেই।
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির মেধাবী শিক্ষার্থী শহীদ শাঈখ আসাবুল ইয়ামিনকে জঘন্য বৈশাচিক ও বর্বরভাবে হত্যার পর পাখির মত গুলি করে মানুষ মারার নেশায় উন্মুক্ত হয়ে ওঠেন এই কর্মকর্তা। আইন অনুযায়ী গুলি ছুঁড়তে গেলে তো ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি লাগে। তিনি কার অনুমতি নিয়েছিলেন? কার মসনদ রক্ষায় সাভারে রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছিলেন?? এমন প্রশ্ন বিক্ষপ্ত মানুষের মাঝে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে তিনি যা যা করেছেন এসব কথা এখন মানুষের মুখে মুখে। তার টিমের লোকরাই এখন অনেক তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছে। দারোগা থেকে ওসির কাছ থেকে মাশোয়ারা, দখল ও গ্রেপ্তার বাণিজ্য! তিনি কয়টার জবাব দিবেন? আমৃত্যু তাকে তাড়িয়ে বেড়াবে শত মায়ের আর্তনাদ আর ভাই হারানো বোনের অভিশাপ।